যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনে হুথিদের উপর তৃতীয় দফার যৌথ হামলা চালিয়েছে। লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় এ হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলায় সমর্থন দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, কানাডা, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ড।
একটি যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘‘ইয়েমেনের ১৩টি এলাকায় ৩৬টি হুথি ঘাঁটিতে আমরা হামলা চালিয়েছি। লোহিত সাগরীয় এলাকায় আন্তর্জাতিক এবং বাণিজ্যিক জাহাজে হুথিদের অনবরত হামলার জবাবে এটা আমাদের প্রত্যাঘাত।’’
হুথিদের উপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আরও ছ’টি বন্ধু দেশকে পাশে পেয়েছে আমেরিকা, ব্রিটেন। হামলায় তাদের সাহায্য করেছে অস্ট্রেলিয়া, বাহরিন, কানাডা, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস এবং নিউ জ়িল্যান্ড। ইয়েমেনের মাটিতে যে সমস্ত গোপন ডেরায় হুথিরা তাদের অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ করে, সেখানে হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি আমেরিকা, ব্রিটেনের। তাদের যৌথ বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘‘বিশ্ব বাণিজ্যকে ব্যাহত করা, নিষ্পাপ প্রাণ হত্যা করার যে যজ্ঞ হুথিরা শুরু করেছে, তা ছন্নছাড়া করতেই এই হামলা।’’ এর আগে শনিবারই লোহিত সাগরের জাহাজে হামলা চালাতে হুথিদের তাক করে রাখা ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছিল আমেরিকা। গুলি করে নামানো হয়েছিল আটটি ড্রোনও।
কিছু দিন আগে জর্ডনে সিরিয়া সীমান্তের কাছে আমেরিকান বাহিনীর ওপর ড্রোন হামলা চালানো হয়। আমেরিকার দাবি, এই হামলার নেপথ্যে রয়েছে ইরান। ওই হামলায় আমেরিকার তিন জন সৈনিকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। হামলার পরেই আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রত্যাঘাতের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। তার পর দেখা যায়, শুক্রবার ইরাক এবং সিরিয়ায়, ইরানের বাহিনী এবং তেহরান সমর্থিত সশস্ত্র বাহিনীর উপর যুদ্ধবিমান দিয়ে হামলা চালিয়েছে ওয়াশিটন। তাতে সিরিয়ায় ১৮ জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে পেন্টাগন সূত্রে খবর। যদিও ইরানের মাটিতে সরাসরি হামলা চালায়নি আমেরিকা। তার এক দিন পরেই আমেরিকা এবং ব্রিটেনের যৌথ প্রচেষ্টায় হুথিদের ঘাঁটিতে আছড়ে পর একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র।
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার