ইয়েলো ভেস্টধারীরা ১৩তম সপ্তাহের মতো আন্দোলনে নামলে ফের উত্তাল হয়ে ওঠে ফ্রান্সের রাজপথ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষসহ অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। আহত হন বেশ কয়েকজন। আন্দোলনের মধ্যেই হামলা হয়েছে ফ্রান্সের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের প্রধান রিচার্ড ফেরান্ডের বাসভবনে।
জ্বালানি তেলের দাম ও জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ার প্রতিবাদে ফ্রান্স জুড়ে শনিবারও (৯ ফেব্রুয়ারি) ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার বিক্ষোভের শুরুতেই বেশ কয়েকটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে ইয়েলো ভেস্ট আন্দোলনকারীরা। পরে পুলিশও পাল্টা ব্যবস্থায় ‘স্টিং বল গ্রেনেড’ ছুড়লে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় আন্দোলনকারীরা। এ-সময় আহত হন বেশ কয়েকজন।
রাজধানী প্যারিস ছাড়াও দেশটির অন্যান্য শহরেও কমবেশি সংঘর্ষ হয়েছে। প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষ নিজেদের দাবি আদায়ে ১৩তম সপ্তাহের মতো নেমে আসে রাস্তায়। মোড়ে মোড়ে পূর্ব সতর্কতা থাকার পরেও, আন্দোলনকারীদের সামলাতে বেগ পেতে হয় প্রশাসনকে।
এর মধ্যেই হামলা হয়েছে ফরাসি প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের সভাপতি রিচার্ড ফেরান্ডের বাসভবনে। এতে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁসহ বিভিন্ন মহল ইয়েলো ভেস্ট আন্দোলনকারীদের ব্যাপক সমালোচনা করেন।
কেবল রাজপথ নয়, আন্দোলনকারীরা দেয়ালে ছবি এঁকেও তাদের প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন। তারা বলেন, মনে যা এসেছে আমরা অঙ্কন করছি। সরকারের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ সবদিক থেকেই চলবে।
ফ্রান্সের মোটরযান আইন অনুযায়ী, প্রতিটি গাড়িতেই বিশেষ নিরাপত্তা জ্যাকেট রাখতে হয়। এর রঙ অনেকটা সবুজ-হলুদ। আন্দোলনকারীরা এই জ্যাকেট পরে বিক্ষোভের সূচনা করেন বলে আন্দোলনটি পরিচিতি পায় ‘ইয়েলো ভেস্ট’ নামে। জ্বালানি তেলের ওপর কর বৃদ্ধি, জীবনযাপন ব্যয় বাড়াসহ নানা দাবিতে পালিত হচ্ছে এ কর্মসূচি।