ডিএমপি নিউজঃ পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের নামাজের নিরাপত্তা সুদৃঢ় ও নিশ্ছিদ্র করতে জাতীয় ঈদগাহ কেন্দ্রীক ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
আজ ২৪ জুন’১৭ শনিবার সকাল ১১ টায় জাতীয় ঈদগাহ প্রাঙ্গণে ঈদের নামাজের নিরাপত্তায় ডিএমপি’র গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে উপস্থিত গণমাধ্যমে ব্রিফিংকালে একথা বলেন ডিএমপি কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া বিপিএম (বার), পিপিএম।
কমিশনার বলেন- ডিএমপি’র পক্ষ থেকে ঈদের জামাতে নিশ্ছিদ্র ও সুদৃঢ় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ঢাকা শহরের প্রধান ঈদের জামাত জাতীয় ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮.৩০ টায়। এছাড়াও বায়তুল মোকাররম মসজিদসহ প্রায় ৫০০ জায়গায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতি ঈদের জামাতে নেয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সর্ম্পকে তিনি বলেন- প্রত্যেক মুসল্লিকে মেটাল ডিটেক্টর ও আর্চওয়ে দিয়ে ঈদগাহে প্রবেশ করতে হবে। ঈদগাহের চতুর্থদিকে ও ভেতরে সর্তক অবস্থায় থাকবে ইউনিফর্মে ও সাদা পোষাকে পুলিশ। জাতীয় ঈদগাহে ও তার আশপাশের নিরাপত্তায় বসানো হয়েছে বিপুল পরিমান সিসি ক্যামেরা। পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরা দিয়ে জাতীয় ঈদগাহ ও তার চারপাশে মনিটরিং করা হবে। নিরাপত্তায় রয়েছে ফায়ার টেন্ডার, কমান্ড ভেহিক্যাল ও ওয়াচ টাওয়ার। আগত সকল মুসল্লিরা তিন ধাপে আর্চওয়ে ও শারীরিক তল্লাশীর মধ্যদিয়ে ঈদগাহে প্রবেশ করবেন। নিরাপত্তার স্বার্থে বিভিন্ন রোডে দেয়া হয়েছে রোড ব্যারিকেড। নামাজ শেষে নির্বিঘ্নে বের হওয়ার জন্য প্রধান গেটের পাশাপাশি রয়েছে ইমার্জেন্সী গেট। পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের ডগ স্কোয়ার্ড দিয়ে ঈদগাহ সুইপিং করা হবে। স্ট্যান্ডবাই থাকবে সোয়াট টিম। অন্যান্য সংস্থার সাথে সমন্বয় করে আমাদের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
জনসাধারণের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন- জাতীয় ঈদগাহে প্রবেশে প্রতিটি চেকপোস্টে তল্লাশীকালে পুলিশকে সহযোগিতা করুন। মুসল্লিরা জায়নামাজ ব্যতীত কোন ধরণের ভেনিটি ব্যাগ, ব্যাগ, ট্রলি ব্যাগ, অস্ত্র, ছুরি, চাকু, কাচি, গোলাবারুদ ও দার্হ্য পদার্থ সাথে নিয়ে আসবেন না। জায়নামাজ ও ছাতা চেকপোস্টে পুলিশের নিকট খুলে দেখাবেন। ঈদগাহের আধা কিলোমিটারের মধ্যে কোন মোটরসাইকেল ও গাড়ি আনা যাবে না। মোটরসাইকেল ও গাড়ি ট্রাফিক কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে পার্কিং করতে হবে। ঈদের জামাত শেষে সকলে একসাথে তাড়াহুড়া করে বের না হয়ে সম্ভাব্য দূর্ঘটনা এড়ানোর জন্য ধীরে সুস্থে সু-শৃঙ্খলভাবে ঈদগাহ থেকে বের হবেন। যেকোন প্রয়োজনে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করতে নগরবাসীকে অনুরোধ জানান ডিএমপি কমিশনার।