ডিএমপি নিউজ : ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম বলেছেন, ঈদযাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, নৌ পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, এপিবিএন, র্যাব, পুলিশের বিশেষায়িত অন্যান্য ইউনিট এক যোগে কাজ করছে। পুলিশের সাথে প্রশাসন, পরিবহন মালিক-শ্রমিকরাও কাজ করছেন।
সোমবার বিকালে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তিনি যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে নিরাপত্তা পরিস্থিতির খোঁজ নেন।
আইজিপি বলেন, ইতোমধ্যে ঘরমুখো মানুষ বাস, লঞ্চ বা ট্রেনে করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন, অনেকে রওনা হচ্ছেন। তারা যাতে স্বস্তিতে ও নিরাপদে বাড়ি পৌঁছাতে পারে সেজন্য বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট একযোগে কাজ করছে।
তিনি আরো বলেন, প্রতিটি রেল স্টেশন, বাস টার্মিনাল ও নৌবন্দরসহ বিভিন্ন সড়কে ইউনিফর্মধারী পুলিশের পাশাপাশি ডিবি পুলিশ ও সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ কাজ করছে। সিনিয়র অফিসাররাও পর্যায়ক্রমে সার্বক্ষণিক মাঠে রয়েছেন।
আইজিপি বলেন, বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। শত শত সেতু উদ্বোধন করা হয়েছে। রেলের কামরা ও ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে মানুষের যাতায়াত অনেক সহজ হয়েছে।
তিনি বলেন, ঈদুল আযহায় মানুষকে নিরাপদে বাড়ি ফেরানো, পশুবাহী ট্রাক ও নৌকাসমূহকে নির্দিষ্ট হাটে পৌঁছানো ও মৌসুমি ফলের গাড়ি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছানো- পুলিশকে এ তিনটি চ্যালেঞ্জ মাথায় রেখে কাজ করতে হয়। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পুলিশ বাহিনী যথাযথভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।
অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির কবল থেকে মুক্ত থাকতে রাস্তায় কারো কাছ থেকে কোন দ্রব্য বা পানাহার না করার অনুরোধ করেছেন আইজিপি।
নির্দিষ্ট গতিসীমায় গাড়ি চালিয়ে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছানোর অনুরোধ করে আইজিপি বলেন, ঈদের পর খালি রাস্তায় অনেকে দ্রুত গতিতে গাড়ি চালান। এসময় যানবাহনের অতিরিক্ত গতি প্রতিরোধে পুলিশের পাশাপাশি মোবাইলকোর্টও কাজ করবে।
যে কোন প্রয়োজনে নিকটস্থ থানা অথবা ৯৯৯-এ যোগাযোগ করার জন্য যাত্রী সাধারণের প্রতি অনুরোধ জানান আইজিপি।
এ সময় ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম(বার), পিপিএম; অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মোঃ কামরুল আহসান, রেলওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মোঃ দিদার আহম্মদ, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মোঃ কামরুল আহসান এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ আইজিপির সাথে ছিলেন।