সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাম শুনলে চোখের সামনে ভেসে উঠে সুউচ্চ ইমারত ও দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা। তাদের রাজকীয় বিলাশী জীবনযাপন পুরো বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়ে থাকে। পোষা প্রাণী থেকে শুরু করে খাবার দাবারে রয়েছে বিলাশীতার পুরো রেশ। সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে দুবাই অনেক কিছুর জন্য বিখ্যাত। বিখ্যাত জিনিসের মধ্যে উটের দুধ অন্যতম। উটের দুধ সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় দুবাইতে।
দুবাই শহর থেকে মাত্র আধা ঘণ্টা দূরত্বে এমিরেটস ইন্ডাস্ট্রি ফর ক্যামেল মিল্ক অ্যান্ড প্রডাক্টস-এর সেন্টার, যেখানে ২০০৬ সাল থেকে উৎপাদন শুরু হয়েছে। ৪২০০ একর জায়গা নিয়ে গড়ে উঠেছে দুবাই-এর এই উটের দুধের খামার, যা ২১০ টি ফুটবল মাঠের সমান।
একটি ঘরে একসাথে থাকে ২৫টি উট। এরা দলবদ্ধভাবে থাকতে ভালোবাসে। উট যেমন চালাক, তার জেদও তেমনি বেশি। আপনি তখনই উটের দুধ দোয়াতে পারবেন যখন সে তার সন্তানকে পেট ভরে দুধ খাওয়ানো শেষ করবে।
এক দিনে এক একটি স্ত্রী উট সর্বোচ্চ সাত লিটার দুধ দিতে পারে। দিনে দু’বার দুধ দোয়া হয়। খামার থেকে দিনে ৬ হাজার লিটার দুধ প্যাকেটজাত করা হয়। গরুর দুধের চেয়ে এই দুধে চর্বির মাত্রা প্রায় অর্ধেক। আর ভিটামিন সি তিন থেকে পাঁচগুণ বেশি। ক্যালসিয়ামের পরিমাণও বেশি।
মোট উৎপাদনের দুই তৃতীয়াংশ তরল আকারে বাজারে ছাড়া হয়, বাকিটা গুড়ো দুধ হিসেবে বাজারজাত করা হয়।
চকলেট
২০০৮ সাল থেকে উটের দুধ দিয়ে চকলেট বানানো শুরু হয়েছে। প্রতি বছর ১০০ টন চকলেট উৎপাদন হয়। কিন্তু এ জন্য উটের দুধ অস্ট্রিয়ায় পাঠানো হয়। অস্ট্রিয়া থেকে দুধের মণ্ড সংযুক্ত আরব আমিরাতে আসে, এরপর আইভরি কোস্ট থেকে আসে কোকোয়া পাউডার। আর ভ্যানিলা আসে মাদাগাস্কার থেকে। এরপর দুবাইতে বানানো হয় চকলেট।
৭০ গ্রাম চকলেটের প্যাকেট বিক্রি হয় ৬ ইউরোতে। চকলেট নির্মাতা কোম্পানির নাম আল নাসমা। চকলেটের দামের ৪৯ ভাগ পায় অস্ট্রিয়া।