ডিএমপি নিউজঃ পুলিশের কঠোর নিরাপত্তায় রাজধানীর প্রত্যেকটি জায়গায় উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হয়েছে পহেলা বৈশাখ ১৪২৬। একদিকে যেমন কঠোর মনোভাব নিয়ে জনসাধারণের নিরাপত্তায় ডিউটি পালন করেছে,তেমনি করে আগত প্রত্যেকটি দর্শনার্থীকে ফুল ও বাতাসা দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সদস্যরা।
১৪ এপ্রিল রবিবার সকালে রমনার বটমূলে ছায়ানটের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুরু হয় বর্ষবরণ। রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও রবীন্দ্র সরোবরসহ যেসব জায়গায় বর্ষবরণের অনুষ্ঠান হয়েছে প্রত্যেকটি জায়গায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ছিল তৎপর। রমনা পার্কে প্রত্যেকটি গেটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সরব উপস্থিতি ও তল্লাশী করে দর্শনার্থীদের প্রবেশ করানো হয়। এছাড়াও পার্কের ভিতরে ও বাহিরে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল চোখে পড়ার মতো।
পহেলা বৈশাখের আরেকটি বিশেষ ইভেন্ট ছিল মঙ্গল শোভাযাত্রা। পুলিশের কঠোর প্রহরার অনুষ্ঠিত হয়েছে মঙ্গল শোভাযাত্রা। কয়েক স্তরে সাজানো ছিল মঙ্গল শোভাযাত্রার নিরাপত্তা।
ডিএমপি’র গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অনুষ্ঠানস্থলে আসা দর্শনার্থীরা। পহেলা বৈশাখের নিরাপত্তায় রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও রবীন্দ্র সরোবরসহ বেশ কিছু স্থানে ডিএমপি’র কমান্ড সেন্টার স্থাপন করা হয়েছিল। পুরো রমনা পার্ক সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা ছিল। ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে পুরো এলাকা পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। এছাড়াও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, পুলিশের বিশেষ টিম সোয়াত এবং পুলিশের অন্যান্য ইউনিটের সদস্যরা প্রস্তুত ছিল পহেলা বৈশাখ উদযাপন সফল করতে।
রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও রবীন্দ্র সরোবরসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ছিল নগরবাসীর ঢল। প্রত্যেকটি প্রবেশ গেটে আগত দর্শণার্থীদেরকে ফুল, বাতাসা ও পাখা দিয়ে বরণ করে নিয়েছে পুলিশ সদস্যরা। রাজধানীর আটটি পয়েন্ট থেকে বিতরণ করা হয়েছে বিশুদ্ধ পানি। মেলা প্রাঙ্গণে ছিল পুলিশের ‘লস্ট এন্ড ফাউন্ড সেন্টার’। ছিল প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী টিম ও পুলিশের ব্লাড ব্যাংক।
নগরবাসীকে বাংলা নববর্ষের বিনোদন দিতে প্রতিবারের ন্যায় এবারও ডিএমপি’র আয়োজনে রমনা জামতলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘আলোকের ঝর্ণা ধারা’ শিরোনামের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে দর্শক মাতান নগরবাউল জেমস, কর্নিয়া, ঐশীসহ বাংলাদেশ পুলিশ সাংস্কৃতিক পরিষদের সদস্যরা।