ডিএমপি নিউজঃ লালবাগ থানার নিজস্ব নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন অনুষ্ঠানে পুলিশ মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক বিপিএম, পিপিএম বলেন এই থানা আপনাদের থানা, এখানের পুলিশ আপনাদের জন্য কাজ করবে।
লালবাগ বেরিবাধ সংলগ্ন ২৪ নং ওয়ার্ড (ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন) বালুর মাঠে ৫০ শতাংশ জায়গার উপর ৮ তলা বিশিষ্ট থানা ভবন নির্মিত হবে। এ সংক্রান্তে আজ ৮ অক্টোবর’১৭ সকাল ১১ টায় লালবাগ নতুন থানার ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন ও সূধী সমাবেশ এর আয়োজন করে লালবাগ বিভাগ।
ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল এ কে এম শহীদুল হক বিপিএম, পিপিএম। সম্মানিত অতিথি হিসেবে ছিলেন ঢাকা-৭ আসনের সাংসদ হাজী মোঃ সেলিম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ স্থানীয় সকলস্তরের মানুষ। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন ডিএমপি কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া বিপিএম-বার, পিপিএম।
ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে লালবাগ নতুন থানা ভবনের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর আওয়ামীলীগ দক্ষিণ এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহ আলম মুরাদ, ২৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ মোশাররফ হোসেন, ২৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ মোঃ দেলোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইব্রাহীম খান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইজিপি বলেন- জায়গার এত সংকটের পরও লালবাগের মানুষের সহায়তায় লালবাগ থানার জন্য ৫০ শতাংশ জায়গা পাওয়া গেছে। এজন্য তিনি সকলকে ধন্যবাদ জানান। ফৌজদারী অপরাধে বিচার কাজে পুলিশের গুরুত্ব অনেক। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও নাগরিকের নিরাপত্তা বিধান করায় পুলিশের প্রধান কাজ। থানা পুলিশের বেসিক ইউনিট। এখান থেকে বিচার প্রক্রিয়া শুরু শেষ হয় আদালতে। থানায় এসে যাতে জনসাধারণ স্বাচ্ছন্দে সুন্দর পরিবেশে তাদের সেবা পেতে পারে এজন্য দরকার ভালমানের থানা ব্যবস্থা। এ লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।
তিনি আরও বলেন- পুলিশ ও জনগণের মধ্যে নিয়মিত সম্পর্ক রক্ষার্থে কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা চলমান রয়েছে। পুলিশের ভুল ধরিয়ে দেয়ার মাধ্যমে আমরা সংশোধণ হতে পারি। পুলিশ সমাজের অংশ, জনগণ থেকে পুলিশ এসেছে। আইন শৃংখলা আমরা ঠিক রাখতে না পারলে কোন সফলতা আসবে না। উন্নয়নের পূর্বশর্ত সুন্দর আইনশৃংখলা ব্যবস্থা।
সভাপতির বক্তব্যে কমিশনার বলেন- আমরা কমিউনিটিং পুলিশিং বা বিট পুলিশিং এর মাধ্যমে জনগণের কাছে এসে তাদের নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছি। মাদক, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সবসময় আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স। ডিএমপিতে অনেক জায়গায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। যার ফলে অপরাধ সংগঠনের পর অতি স্বল্প সময়ে অপরাধীকে সনাক্ত করে গ্রেফতার করতে পেরেছি।
এছাড়াও তিনি বলেন- লালবাগ থানা ডিএমপি’র সবচেয়ে পুরাতন থানা। কিন্তু এতদিন এই থানার নিজস্ব কোন ভবন ছিলনা। বর্তমানে সিটি কর্পোরেশনের কমিউনিটি সেন্টারে অতি কষ্ট করে লালবাগ থানা তার দাপ্তরিক কাজ সম্পন্ন করছে। এই নতুন থানা ভবন নির্মিত হলে দাপ্তরিক কাজে আরও গতি আসবে।
লালবাগ থানার জন্য নতুন জায়গা পাওয়ার পেছনে যাদের অবদান আছে তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান ডিএমপি কমিশনার।