হঠাৎ কয়েক ছটাক বৃষ্টি তো, পরক্ষণেই চড়া রোদ। আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিতে সর্দি-কাশির সমস্যায় নাজেহাল শরীর। সারা বছরই ঠান্ডা লাগার ধাত যাঁদের থাকে, তাঁদের তো বটেই, এমনকি, রীতিমতো সুস্থ মানুষও এমন খেয়ালি আচরণের কোপে পড়ে হারাচ্ছেন নীরোগ থাকার পাসওয়ার্ড।
বর্ষায় বৃষ্টি ভিজলে যেমন সর্দি-কাশির একটা ভয় থাকে, তেমনই এ বছর কম বৃষ্টিপাতের দিনকালেও সর্দি-কাশির প্রকোপ থেকেই যায়। এই সময় আবহাওয়ার আর্দ্রতা ও স্যাঁতসেঁতে ভাবের জন্য অ্যালার্জিরা সক্রিয় থাকে। তাই শরীরের সামান্য প্রতিরোধ ক্ষমতায় ঢিলেমি দেখলেই আক্রমণ শানায়।
অসুখ করলে ঠিকঠাক চিকিৎসার ব্যবস্থা করাই বুদ্ধিমানের কাজ। তবে সর্দি-কাশির প্রকোপ থেকে নিজেদের বাঁচাতে চিকিৎসার পাশাপাশি কিছু ঘরোয়া উপায়ও অবলম্বন করা যেতেই পারে। এতেও অসুখে স্বস্তি মেলে।
আদা: সর্দি-কাশি ঠেকাতে আদা-চা যে খুব কার্যকর এ কথা কমবেশি সকলেই জানেন। এমন চা পোটানোর সময় তাতে কিছুটা মধু ও লেবু যোগ করুন। শরীরকে গরম রাখতে ও সর্দি-কাশিকে দূর করতে এটিও বিশেষ উপকারী।
ভেপার: কান, গলা, মাথা ঢেকে ফেলুন বড় চাদর দিয়ে। বিছানার চাদরের ঘোরাটোপে নিজেকে রেখে গরম জলের ভাপ নিন। গরম জলে ব্যাকটিরিয়া নিরোধক কিছু ওষুধও ফেলতে পারেন। অনেকে ক্যামোমাইল বা ইউক্যালিপটাস তেল যোগ করেন। ভাপ নিলে আপনার পোস্ট নেজ়াল ড্রিপিং কমবে, ফলে কাশিও কমতে বাধ্য। ভাপ নেওয়ার সময় পাখা বন্ধ রাখবেন। ভাপ নেওয়ার পরেও মিনিট দশেক পাখার তলায় থাকবেন না।
অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার: গলার মিউকাসকে ভাঙতে ও ব্যাকটিরিয়ার আক্রমণ ঠেকাতে আপেল সাইডার ভিনিগার খুবই উপকারী। সর্দি-কাশির সমস্যা থাকলে প্রতি দিন ঈষদুষ্ণ জলে দু’চামচ আপেল সাইডার যোগ করে খালি পেটে খান। এতে ঠান্ডা লেগে হওয়া অসুখের হাত থেকে অনেকটাই রক্ষা পাওয়া যাবে।
মধু: প্রতি দিন ঘুমনোর আগে আনপাস্তুরাইজড মধু খান। কেউ কেউ গরম জল বা দুধের সঙ্গে মিশিয়েও খেয়ে থাকেন। কাশি কমাতে ও ঠান্ডার প্রকোপ থেকে দূরে থাকতে মধু খুব কার্যকর।