ডিএমপি নিউজঃ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো: মনিরুল ইসলাম বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) বলেন, এতো স্বল্প সময়ে এমন একটি চাঞ্চল্যকর মামলার রায় ঘোষণার মাধ্যমে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা বিশ্বে বিরল। এটা সন্ত্রাসীদের জন্য একটি ম্যাসেজ। বহির্বিশ্বে দেখা যায় এ সকল অপরাধের ক্ষেত্রে অপরাধীরা গ্রেফতার না হয়ে নিহত হয়ে যায়। কাউন্টার টেরোরিজম তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে প্রত্যেক অপরাধীকে খুঁজে বের করেছে। এটা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তথা বাংলাদেশ পুলিশের একটি বড় সাফল্য।
বুধবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান মো: মনিরুল ইসলাম হলি আর্টিজান মামলার রায় পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
মনিরুল ইসলাম বলেন, জঙ্গিদের হলি আর্টিজানে হামলা ছাড়াও আরো হামলার পরিকল্পনা ছিল। তারা আরো হামলার পরিকল্পনা প্রনয়ণ, বাস্তবায়ন ও প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিল। কাউন্টার টেরোরিজম ২০১৬ সালের জুলাইয়ে কল্যাণপুরে জীবিত এক আসামীকে গ্রেফতার করে হলি আর্টিজান মামলার ফাউন্ডেশন খুঁজে পায়। ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে নারায়ণগঞ্জে জঙ্গি বিরোধী এক অভিযানে মাস্টারমাইন্ড তামিম চৌধুরী নিহত হন। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিক জঙ্গি বিরোধী অভিযানে নব্য জেএমবির নেতৃত্বে আসা অনেকে নিহত হয় এবং অনেককে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে রূপনগরের অভিযানে একজন মাস্টার ট্রেইনার নিহত হয়।
হলি আর্টিজান জঙ্গি হামলা মামলার তদন্তটি ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তখনো নবাগত এই ইউনিটটি প্রযুক্তিগতভাবে ভালো সক্ষমতা অর্জন করতে পারে নি। শুধুমাত্র দেশপ্রেম, আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে এই চাঞ্চল্যকর মামলাটি তদন্ত শুরু করেছিল কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট।
বহুল আলোচিত গুলশানে অবস্থিত হলি আর্টিজান জঙ্গি হামলা মামলায় ৭ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোঁরায় হামলা চালিয়ে বিদেশি নাগরিকসহ ২২ জনকে হত্যা করেছিল জঙ্গিরা। ওই বছরেই গঠিত হয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট।
তিনি আরো বলেন, হলি আর্টিজানে হামলার সাথে জড়িত ২১ জনের মধ্যে সরাসরি জড়িত ৫ জন ঘটনাস্থলে নিহত হন। পরবর্তী সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি বিরোধী অভিযানে নিহত হন ৮ জন। ৬ জনকে জীবিত গ্রেফতার করা হয় এবং পলাতক ২ জনসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই বিজ্ঞ আদালতে চার্জশীট দাখিল করা হয়।