ডেনমার্কের পার্কেন স্টেডিয়াম সাক্ষী থাকল ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ঐতিহাসিক ম্যাচের। সোমবার ক্রোয়েশিয়া বনাম স্পেন ম্যাচ দেখল আট গোলের অনবদ্য থ্রিলার। শেষ পর্যন্ত স্পেন ৫-৩ গোলে ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে চলে গেল কোয়ার্টার ফাইনালের শেষ আটে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ফ্যানেরা বলাবলি শুরু করে দিলেন যে, চলতি ইউরো কাপের সেরা ম্যাচটা দেখে নিলেন তাঁরা।
ইউরোর ইতিহাসে এটাই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলের ম্যাচ হিসেবে রেকর্ডের খাতায় লেখা হয়ে থাকল। এর আগে ১৯৬০ সালে ইউরোর (তখন ইউরো কাপের নাম ছিল ইউরোপিয়ান ন্যাশনস কাপ) প্রথম আসরে ৯ গোল হয়েছিল ফ্রান্স বনাম যুগোস্লোভাকিয়া ম্যাচ। সেই যুগোস্লোভাকিয়া ৫-৪ জিতে ফাইনালে উঠেছিল।
এদিন ম্যাচের নিধার্রিত সময় পর্যন্ত খেলা ৩-৩ থাকে। ২০ মিনিটে পেদ্রির আত্মঘাতী গোলে ক্রোয়েশিয়া ১-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল। এরপর ৩৮ মিনিটে পাবলো সারাবিয়া স্পেনকে সমতায় ফেরান। বিরতিতে স্কোরলাইন থাকে ১-১।
দ্বিতীয়ার্ধের ১২ মিনিটের মাথায় স্পেনকে এগিয়ে দেন সিজার আজপিলিকুয়েতা। এরপর ৭৬ মিনিটে ফেরেন তোরেস ফের স্পেনকে এগিয়ে দেয়। ৩-১ পিছিয়ে থাকা ক্রোয়েশিয়া চমকে দিয়ে দুরন্ত ভাবে লড়াই ফিরে আসে নির্ধারিত সময়ের ঠিক ১০ মিনিট। ৮৫ মিনিটে মিরস্লাভ ওরসিচ ও ৯২ মিনিটে মারিও পাসালিচ স্কোরলাইন ৩-৩ করে ম্যাচের রঙই শুধু বদলে দেন না স্প্যানিশ সমর্থকদের হতাশায় ডুবিয়ে ক্রোট সমর্থকদের সেলিব্রেশনে মাতিয়ে দেন।
এরপর খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়। যদিও সেই ৩০ মিনিট লুইস এনরিকের শিষ্যরা আর কথা বলতে দেননি দালিচের শিষ্যদের। ম্যাচের ১০০ মিনিটে আলভারো মোরাতা ও এর ঠিক তিন মিনিট পর মিকেল ওয়ারজাবাল কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দেন। ‘লা রোজা’ ঝড়ের সামনে বিশ্বকাপ রানার্সদের মাথা নত করা ছাড়া আর কোনও রাস্তা খোলা ছিল না।