রাজশাহীর পর এবার গোখরা সাপের সন্ধান মিলল সাতক্ষীরা সদর ও আশাশুনি উপজেলার দুইটি বসত বাড়িতে। সাতক্ষীরার সদর ও আশাশুনি উপজেলায় দুজনের বাড়িতে ৭৬টি গোখরা সাপ পাওয়া গেছে। এ সময় পাওয়া যায় ৫০টি সাপের ডিমও।
গত বুধ ও বৃহস্পতিবার সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের বালুইগাছা গ্রামের সাত্তার খানদারের বাড়িতে এবং আশাশুনির বুধহাটা ইউনিয়নের বেউলা গ্রামের মোড়লপাড়ার মকবুল সরদারের বসতঘরে পাওয়া গেছে সাপগুলো।
সাত্তার খানদারের বাড়িতে পাওয়া গেছে ৫৬টি ছোট আকারের গোখরা সাপ। তবে সাপের মাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ধ্বংস করা হয়েছে সাপের ৫০টি ডিম।
সাত্তার খানদারের ছেলে ইসমাইল জানান, গত বুধবার দিবাগত রাতে তাঁর দাদির হাতে হঠাৎ একটি সাপের বাচ্চা ওঠে। পরে সবাই মিলে সাপটিকে মেরে ফেলা হয়। পরের দিন সকালে আরো একটি সাপ ঘরের মেঝেতে দেখতে পায় বাড়ির লোকজন। ওই সাপটিও মেরে ফেলা হয়। বাড়িতে আরো সাপ আছে কি না তার খোঁজ করা হয়। এরপর মাটির বাড়ির গর্তে পাওয়া যায় আরো ৫৪টি গোখরা।
ইসমাইল বলেন, ‘সব সাপ আমরা মেরে ফেলি। খুঁজে পাওয়া ডিমগুলোও নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। সাপগুলো আমাদের কোনো ক্ষতি করেনি। কিন্তু এখনো ভয় রয়েছে, ওদের মা সাপটি কোথায় তা নিয়ে। এখন আমরা ঘরটির চারপাশ জাল দিয়ে ঘিরে রেখেছি, যাতে কেউ আর সেখানে না যায়। সাপও যাতে বেরিয়ে আসতে না পারে। এরপর বড় সাপুড়ে আসবেন। তিনি এসে আরো সাপ আছে কি না তা নিশ্চিত করবেন।’
এদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবার বেউলা গ্রামের মোড়লপাড়ায় আরো ২০টি গোখরা সাপের সন্ধান পাওয়া যায়। বাড়ির মালিক মকবুল সরদার জানান, তাঁরা প্রথমে ঘরের মধ্যে দেড় থেকে দুই ফুট লম্বা একটি গোখরা সাপ দেখতে পান। সেটি তখনই মেরে ফেলা হয়। পরে ঘরের মাটি খুঁড়ে পাওয়া যায় আরো ১৯টি সাপ। একে একে সবগুলোই মেরে ফেলা হয়।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাত ১১টার পর থেকে রাজশাহী মহানগরীর বুধপাড়া মহল্লার বাসিন্দা মাজদার আলীর শোয়ার ঘরে একে একে মারা পড়ে ২৭টি গোখরা। ওই বাড়িটিও পুরোনো মাটির বাড়ি। এগুলোর সবগুলোই বাচ্চা সাপ। প্রতিটি লম্বায় আড়াই ফুটের মতো। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলার তানোর পৌরসভার ভদ্রখণ্ড মহল্লার কৃষক আক্কাস আলীর রান্নাঘরে পাওয়া যায় আরো ১২৫টি গোখরা সাপ।