বয়স বেশি নয়। এখন চব্বিশের গোড়ায়। কিন্তু, এই আড়াই দশকেই মানুষের মন মজিয়ে রেখেছিল সে। সুখে, দুঃখে, আনন্দে, হুল্লোড়ে, পার্টিতে গান মানেই তো মুঠোবন্দি ফোন, নয়তো আইপ্যাডের মতো অডিও প্লেয়ার।
ফ্লপি আর সিডি-র দিনগুলোকে পেরিয়ে নতুন আবিষ্কার মন কেড়েছে। হাজার হাজার গান অবলীলায় এঁটে যায় ছোট্ট একটি চিপে। কানে হেডফোন হোক বা লাউডস্পিকার, পছন্দের গানে মুহূর্তে মন ভাল হয়ে যাওয়া। শ্রোতাদের মধ্যে তুমুল জনপ্রিয় সেই অডিও ফরম্যাটই ‘এমপি৩’ এ বার উঠে যেতে চলেছে বাজার থেকে।
ডিজিটাল অডিও ফরম্যাটের সৃষ্টিকর্তা ফ্রাউনহোফের আইআইএস তরফে সম্প্রতি এই খবরের সত্যতা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। এই সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, বাজারে উন্নত ফিচার-সহ প্রচুর নতুন ফরম্যাট এসেছে। যারা এমপি৩-র তুলনায় অনেক কর্মক্ষম। এমপি৩ এখনও শ্রোতাদের মধ্যে জনপ্রিয় হলেও গুণমানের দিকে তা অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে। এখন স্ট্রিমিং, টিভি-রেডিও ব্রডকাস্টিংয়ের জন্য আইএসও-এমপেগ কোড ব্যবহার করা হয়। যেমন: অ্যাডভান্স অডিও কোডিং (এএসি)। পরবর্তীতে আরও উন্নত ফরম্যাট এমপেগ-এইচ আসবে বাজারে। যা শ্রোতাদের কাছে অডিওকে আরও গ্রহণযোগ্য করে তুলছে। সংস্থার দাবি, শ্রোতাদের গান শোনার অভিজ্ঞতা যাতে আরও উন্নত এবং আরামদায়ক হয় সেই কথা মাথায় রেখেই এমপি৩-কে বাজার থেকে উঠিয়ে দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
১৯৯৩-এ প্রথম বাজারে এসেছিল এই অডিও ফরম্যাট। কম্পিউটার থেকে ল্যাপটপ, মুঠোফোন থেকে আইপ্যাড— এদের স্মৃতি ভরে উঠত হাজার হাজার পছন্দের গানের সম্ভারে। ১৯৯৭-এ ইউনঅ্যাম্প(মিডিয়া প্লেয়ার) আসার পর থেকে এমপি৩ গান ডাউনলোড করার প্রবণতা এক লাফে বেড়ে যায় কয়েক গুণ। এরপরে ১৯৯৯-এ বাজারে আসে ন্যাপস্টির। যা ডাউনলোড পদ্ধতিকে আরও সহজ করে তোলে।
২৪ বছর অক্লান্তভাবে পরিষেবা দেওয়ার পর অবশেষে বাজার থেকে পাততাড়ি গুটতে চলেছে নস্টালজিয়ার আর এক নাম— এমপি৩।