ডিএমপি নিউজঃ কক্সবাজারের মহেশখালীতে একটি ভাসমান এলএনজি (লিকুইফাইড নেচারাল গ্যাস) টার্মিনাল স্থাপনে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এবং প্রেট্রোবাংলার সঙ্গে চুক্তি করেছে সামিট গ্রুপ। ১ লাখ ৩৮ হাজার ঘনমিটার এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) ধারণক্ষমতা সম্পন্ন এই টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন ৫০০ এমএমসিএফ (মিলিয়ন ঘনফুট) গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পেট্রোসেন্টারে বোর্ড রুমে এফএসআরইউ ( ফ্লোটিং স্টোরেজ এন্ড রি-গ্যাসিফিকেশন ইউনিট) এলএনজি টার্মিনাল প্রকল্প বাস্তবায়নে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সঙ্গে এবং টার্মিনাল নির্মাণ ও ব্যবহারের জন্য পেট্রোবাংলার সঙ্গে চুক্তি করে সামিট এলএনজি টার্মিনাল কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেড। প্রায় ৫০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয়ে নির্মিতব্য এই প্রকল্প আগামী ১৮ মাসের মধ্যে বাস্তবায়নের কথা রয়েছে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব নাজিমউদ্দিন চৌধুরী এর সভাপত্বিতে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আবুল মনসুর মো. ফয়েজউল্লাহসহ সামিট গ্রুগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের পক্ষে উপ-সচিব জনেন্দ্র নাথ সরকার, পেট্রোবাংলার পক্ষে সংস্থার সচিব সৈয়দ আশফাকুজ্জামান, সামিট এলএনজি টার্মিনাল (প্রাইভেট) লি. এর পক্ষে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এএনএম তারিকুর রশিদ এবং কোম্পনির দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি পিটার মেককেই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। গত ০৩ জানুয়ারি চুক্তি দুটি অনুস্বাক্ষরিত হওয়ার পর সরকারী ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি তা অনুমোদন করে।
জানা গেছে, সামিট গ্রুপের সাবসিডিয়ারি কোম্পানি ‘সামিট এলএনজি টার্মিনাল (প্রাইভেট) লি.’ এর সঙ্গে প্রকল্পের যৌথ উদ্যোক্তা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান জেনারেল ইলেকট্রিক। উভয় কোম্পানি প্রকল্পে ইকুইটি অর্থায়ন করবে। এর মধ্যে জেনারেল ইলেকট্রিকের কাছে ২০ শতাংশ এবং সামিটের কাছে ৮০ শতাংশ মালিকানা থাকবে। চুক্তি অনুযায়ি, পেট্রোবাংলা সামিটের কাছ থেকে প্রতি হাজার ঘনফুট গ্যাসের বিনিময়ে দশমিক ৪৫ ডলার পরিশোধ করবে। ১৫ বছর পরে পেট্রোবাংলার কাছে টার্মিনালটি হাস্তান্তর করবে সামিট।বিবি/০১