এশিয়ার সবচেয়ে বড় ক্রীড়া আসর এশিয়ান গেমসের পর্দা উঠছে আজ। ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা ও পালেমবাং শহরে ১৮তম এশিয়াড আজই আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হচ্ছে। ‘এনার্জি অব এশিয়া’ স্লোগানে এবারের গেমস দিয়ে এশিয়া ও বাকি বিশ্বকে চমকে দিতে চায় ইন্দোনেশিয়া, চমক দেখাতে চায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও।
ভিয়েতনাম আয়োজনে অনীহা প্রকাশ করায় ২০১৪ সালে সুযোগটা পেয়ে যায় ইন্দোনেশিয়া। কঠিন জেনেও চ্যালেঞ্জটা নিয়ে নেয় আয়তনে বাংলাদেশের চেয়ে প্রায় পাঁচ গুণ বড় দেশটি। এটা তাদের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ক্রীড়া আসর। ২০১১ সালে দ্বীপদেশটি আয়োজন করেছিল ‘সি গেমস’। বড় দায়িত্ব নিয়ে বসে থাকেনি ইন্দোনেশিয়া। সবচেয়ে সফল এশিয়াড উপহার দিতে নিরলস কাজ করে গেছেন দেশটির হাজারো মানুষ। আয়োজক দেশের অন্তত ৬ হাজার কর্মকর্তা ও ১৯ হাজারের মতো ভলান্টিয়ার যুক্ত আছেন গেমসের সঙ্গে।
৩২০ কোটি ডলার বাজেটের এ গেমসে ৪৫টি দেশের প্রায় সাড়ে ১১ হাজার অ্যাথলিট প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ৪০টি ডিসিপ্লিনে মোট ৪৬৫টি ইভেন্টে লড়াই হবে। এ আসরে মোট ১৪টি ইভেন্টে বাংলাদেশের ১১৭ জন অ্যাথলিট প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
এবারের আসরে দক্ষিণ সুমাত্রার রাজধানী পালেমবাং শহরে অনুষ্ঠিত হবে মোট ১১টি ডিসিপ্লিনের খেলা। গেমসের মূল ভেনু শহর জাকার্তা। এছাড়া ফুটবল অনুষ্ঠিত হচ্ছে পশ্চিম জাভার চিবিনং, বেকাসি, চিকারাং ও সোরেনাংয়ে। গেলোরা বাং কার্নো মেইন স্টেডিয়াম উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠান ছাড়াও অ্যাথলেটিকস অনুষ্ঠিত হবে। এর আশপাশেই হকি, সুইমিং, বাস্কেটবল, আরচারিসহ অধিকাংশ খেলার ভেনু।
আজ সব আলো থাকছে গেলোরা বাং কার্নো মেইন স্টেডিয়ামে। স্বাগতিক দেশের মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রম আজ পূর্ণতা দেয়ার দিন। জাভানিজ ও সান্দানিজসহ প্রায় ৭০০ ভাষাভাষী মানুষের দেশটি সাংস্কৃতিক দিক থেকে বিশাল বৈচিত্র্যময়। তাদের সাংস্কৃতিক শক্তি প্রদর্শনের সুযোগ আজ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কী কী থাকছে, তার বেশির ভাগ গোপন রাখা হচ্ছে। তবে জানা গেছে, আদিবাসীদের অনেক ঐতিহ্য ফুটে উঠবে অনুষ্ঠানে। দেশটির প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো আজ সন্ধ্যায় গেমসের উদ্বোধন করবেন। ৭টায় শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে থাকছে ভাষণ, অ্যাথলিটদের মার্চপাস্ট। সাংস্কৃতিক পর্ব পৌনে ৮টায় শুরু হয়ে চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পারফর্ম করবেন ইন্দোনেশিয়ার খ্যাতিমান গায়ক আনগুন, রাইসা, তুলুস, এদো কন্দোলোজিত, পুত্রি আইয়ু, ফাতিন, জিএসি, কামাসিয়ান ও ভিয়া ভালেন। এ অনুষ্ঠানে পারফর্ম করবেন অন্তত চার হাজার ড্যান্সারও। মূল কোরিওগ্রাফার ড্যানি মালিক ও ইকো সুপ্রিয়ান্তো।