সিপিএ চেয়ারপারসন ও জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন করতে হলে তৃণমূলের জনগণকে ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত করতে হবে। এ কাজে সংসদ সদস্যসহ জনপ্রতিনিধিদের যথাযথ ভূমিকা পালন করতে হবে।
আজ (১৭ জুলাই, ২০১৭) সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে ‘বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ও ইউএনএফপিএ’ এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘জনসংখ্যা ও উন্নয়ন বিষয়ে সংসদের সক্ষমতা বৃদ্ধি ( এসপিসিপিডি)’ শীর্ষক প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. আবদুর রব হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চিফ হুইপ আ.স.ম ফিরোজ, ইউএনএফপি এর আবাসিক প্রতিনিধি আইরি কাটো, অতিরিক্ত সচিব এওয়াইএম গোলাম কিবরিয়া ও প্রকল্প পরিচালক এম এ কামাল বিল্লাহ। উম্মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন হুইপ মো. শহীদুজ্জামান সরকার, মো. আবুল কালাম আজাদ, ডা. আ ফ ম রুহুল হক, মো. হাবিবে মিল্লাত, ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা প্রমুখ।
এছাড়াও হুইপ মো. আতিউর রহমান আতিক, হুইপ ইকবালুর রহিম, হুইপ মোছা. মাহবুব আরা বেগম গিনি, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতিবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এসোসিয়েশনের (সিপিএ) নির্বাহী কমিটির চেয়ারপারসন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে অবকাঠামোগত উন্নয়নের সাথে সাথে মানব সম্পদেরও উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি, মাতৃ মৃত্যুহার হ্রাস, শিশু মৃত্যুহার হ্রাস এর প্রমাণ এবং এরই স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে ।
স্পিকার বলেন, নতুন নতুন ধ্যান-ধারণা ও আবিষ্কারের বিষয়ে সাধারণ মানুষকে আগ্রহী করে তুলতে জনসচেতনতা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এ কাজে স্থানীয় সংসদ সদস্যগণ বিশাল ভূমিকা রাখতে পারেন।
শিরীন শারমিন বলেন, তাৎপর্য ও গুরুত্ব বিবেচনায় এসপিসিপিডি প্রকল্প দ্বিতীয় পর্যায়ে গ্রহণ করা হয়েছে এবং ইতোপূর্বে গৃহীত কর্মসূচীর সফলতাগুলোকে শুধুমাত্র কমিটির সদস্যদের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বিভিন্ন প্রকাশনা ও নিবন্ধ লেখার মাধ্যমে সকলকে অবহিত করতে হবে। তিনি অতি দ্রুত প্রকল্পের অ্যাডভকেসি প্রোগ্রামের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং গৃৃহীত প্রকল্পের জন্য বরাদ্ধ বৃদ্ধির আহবান জানান।