প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে বাংলাদেশের যোগ্যতা অর্জনের কৃতিত্ব বাংলাদেশের জনগণের। জনগণই হচ্ছে মূল শক্তি। জনগণই পারে সব রকম অর্জন করতে। জাতির পিতা বলেই গেছে, বাংলাদেশের মানুষকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। এই উন্নয়নের অগ্রযাত্রা যেন অব্যাহত থাকে সেজন্য সহায়তা চাই।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ সহযোগিতা কামনা করেন। স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে বাংলাদেশের যোগ্যতা অর্জনে প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশের যা কিছু অর্জন তা জনগণের। জনগণ যদি ভোট দিয়ে ক্ষমতায় না আনতো তাহলে আজকে দেশের উন্নয়ন করতে পারতাম না। জনগণের ভাগ্য গড়ার জন্যই আমরা কাজ করি। সব শ্রেণির-পেশার মানুষকে ধন্যবাদ জানাই, তারা আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছে বলেই আজকে দেশ উন্নয়নের পথে এগিয়েছে। এ অর্জন যারা সকলে একযোগে কাজ করেছি, যারা উন্নয়নে অবদান রেখেছে তাদের ধন্যবাদ জানাই।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতিসংঘের স্বীকৃতিপত্র প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এরপর একটি স্মারক ডাক টিকিট ও ৭০ টাকার স্মারক মুদ্রা উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরপর প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানায় সর্বস্তরের নাগরিক। রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সামরিক সচিব। স্পিকারের পক্ষ থেকে আবদুর রাজ্জাক, মাহবুব আরা গিনি, রফিকুল ইসলাম; প্রধান বিচারপতির পক্ষ থেকে রেজিস্ট্রার জেনারেল গোলাম রব্বানী; মন্ত্রিসভার পক্ষ থেকে অর্থ, পররাষ্ট্র, পরিকল্পনা মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।
এছাড়া শিক্ষাবিদদের পক্ষ থেকে ড. আনিসুজ্জামান, রফিকুল ইসলাম, ফারজানা ইসলাম ব্যবসাযীদের পক্ষ থেকে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, সেলিমা আহমেদ, বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুল ইসলাম; সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান; কবি ও সাহিত্যিকদের পক্ষ থেকে শামসুজ্জামান খান ও সেলিনা হোসেন; শিল্পী সমাজের পক্ষ থেকে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, আবুল হাশেম খান, আতাউর রহমান; পেশাজীবীদের পক্ষ থেকে ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মহিলা সংগঠনের পক্ষ থেকে তানিয়া বেগম, অ্যারোমা দত্ত, সুরাইয়া বেগম; এনজিও প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদ, বেগম রোকেয়া, মহসিন আলী; ক্রীড়াবিদ মাশরাফি. সাকিব, মারিয়া আক্তার সীমান্ত শুভেচ্ছা জানান। এ ছাড়াও শ্রমজীবীদের পক্ষ থেকে মোর্শেদা মধুসুধন সরকার, আবদুর রাজ্জাক, একজন পোশাক শ্রমিক, একজন রিকশাচালক প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।
জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস, বিশ্বব্যাংক প্রধান, এডিবি প্রধান, জাইকার সনিচি কিতাওকা, ইউএসএআইডির মার্ক গ্রিন ভিডিওবার্তা পাঠিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।