এ বছর ১ লাখ ২৭ হাজার ২২৯ জন বাংলাদেশী পবিত্র হজ পালন করেছেন। যা অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে বেশি।
ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান সোমবার সৌদি আরবে বাংলাদেশ হজ অফিসে হজ উত্তর এক পর্যালোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক তথ্য বিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, সৌদি আরব সরকারের তথ্য অনুযায়ী এবছর সারা পৃথিবী থেকে ২৩ লাখ ৫২ হাজার হজযাত্রী হজ পালন করেছেন। এদের মধ্যে সৌদি আরবের বাইরে থেকে এসেছেন ১৭ লাখ ৫২ হাজার। এ পর্যন্ত সৌদি আরবে সর্বমোট ৭৪ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী ইন্তেকাল করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, এ বছর হজ ব্যবস্থাপনায় সরকারি হজযাত্রীদের জন্য আরাফাতের তাঁবুতে প্রথমবারের মতো শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। হজযাত্রীদের সাহায্যের জন্য সরাসরি হটলাইন চালু করা হয়েছে। স্বাস্থ্য সেবার ক্ষেত্রে অনলাইন মেডিকেল প্রোফাইল এন্ট্রি করে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হয়েছে। হজযাত্রীদের হারানো লাগেজ দ্রুত পাওয়ার জন্য অনলাইন সুবিধা চালু করা হয়েছে। চিকিৎসাসেবায় উন্নততর প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। আইটি সার্ভিসের মাধ্যমে হারানো হজযাত্রীদের নিজ নিজ বাসা/তাঁবুতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। মিনার মাঠে অতিরিক্ত হজকর্মী নিয়োগ করে হারানো হাজীদের স্ব–স্ব তাঁবুতে দ্রুত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এভাবে বিভিন্ন সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে হজ ব্যবস্থাপনা আগের চেয়ে উন্নততর করার চেষ্টা করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, যেসব বেসরকারি হজ এজেন্সি হজযাত্রীদের সাথে সম্পাদিত চুক্তি অনুসারে সেবা প্রদানে ব্যর্থ হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে এবং শিগগিরই তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশের হজযাত্রীরা হজের কার্যাবলী সম্পন্ন করে ৬ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশে ফিরতে শুরু করেছেন। হজযাত্রীদের ফিরতি ফ্লাইটের শেষ তারিখ ৫ অক্টোবর।