পৃথিবীতে যতটা উচ্চতা পর্যন্ত উঠতে পারে হেলিকপ্টার, মঙ্গলে তার আড়াই গুণ বেশি উচ্চতায় পৌঁছে যেতে পারবে সেই হেলিকপ্টার। যার নাম দেওয়া হয়েছে, ‘মার্সকপ্টার’।
পাসাডেনায় নাসার জেট প্রোপালসন ল্যাবরেটরি থেকে জানানো হয়েছে, ওই হেলিকপ্টার (উপগ্রহ প্রযুক্তির পরিভাষায় যাকে বলা হয়, ‘রোটরক্র্যাফ্ট’) মঙ্গলের উদ্দেশে রওনা হবে আর দু’বছর পর, ২০২০ সালে। এই শতাব্দীর তিনের দশকে মঙ্গলে মানুষ পাঠানোর আগে সব কিছু পরীক্ষা করে দেখতে ২০২০-তে যে রোভার মহাকাশযান পাঠাচ্ছে নাসা, তার ভিতরে পুরেই লাল গ্রহে পাঠানো হবে সেই হেলিকপ্টার বা ‘মার্সকপ্টার’।
মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল প্রায় নেই বলেই এই হেলিকপ্টারটিকে যতটা সম্ভব হাল্কা করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত তার ওজন ৪ পাউন্ড বা ১.৮ কেজি-র কম। ‘ট্রায়াল’ চালানোর পর প্রয়োজন হলে তা আরও কমানো হতে পারে বলে নাসা সূত্রের খবর।
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মাত্র এক শতাংশ বায়ুমণ্ডল রয়েছে লাল গ্রহে। পৃথিবীতে এখনও পর্যন্ত ৪০ হাজার ফুটের বেশি উচ্চতায় হেলিকপ্টার ওড়ানো সম্ভব হয়নি।
ওই হেলিকপ্টার চালানোর আরও দু’টি অসুবিধা রয়েছে। এক, কোনও পাইলট ছাড়াই চালাতে হবে সেই মার্সকপ্টার। দুই, মঙ্গল পৃথিবী থেকে অনেক অনেক দূরে রয়েছে বলে যখন প্রয়োজন, ঠিক সেই মুহূর্তেই, প্রয়োজন হলে, তার গতিপথ বা গতিবেগ বদলানো যাবে না। গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে আগে পাঠানো কমান্ডের ভিত্তিতেই চালাতে হবে ‘মার্সকপ্টার’।