এ মাসের শেষের দিকে, মহাকাশে দেখা যাবে নতুন পিরামিড আকৃতির ‘তারা’। বলা ভাল, সবচেয়ে উজ্জ্বল ‘তারা’। রাশিয়ার সৌজন্যে আকাশ আলো করতে গত সপ্তাহে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছে মায়াক উপগ্রহ। মায়াক, রাশিয়ান এই শব্দটির বাংলা অর্থ হাতছানি। সত্যি, আকাশে এমন উজ্জ্বল এই উপগ্রহ হাতছানি দেবে।
উপগ্রহ, তাও আবার উজ্জ্বল। সবারই প্রশ্ন জাগতে পারে। এই উপগ্রহের সঙ্গে রয়েছে পিরামিড আকারের প্রতিবিম্ব বা আয়না। যা সূর্যের আলো পৃথিবীতে প্রতিফলিত করবে। ফলে ক্রমশ উজ্জ্বল হয়ে ওঠা এই উপগ্রহ নজর কাড়বে আকাশপ্রেমীদের, এমনকী সাধারণ মানুষেরও। মস্কো স্টেট মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে এই বিশেষ উপগ্রহটি বানানো হয়েছে। খরচ পড়েছে তিরিশ হাজার ডলার। সয়ুজ রকেটে চেপে উপগ্রহটি পাড়ি দিয়েছে সুদূর মহাকাশে। দক্ষিণ কাজাখস্তান প্রদেশের বাইকোনুর কসমোড্রোম থেকে এর উৎক্ষেপণ হয় গত ১৪ তারিখ। দিন কয়েকের মধ্যেই পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপিত হবে এই উপগ্রহ।
এই উপগ্রহের মূল উদ্দেশ্য সূর্যের আলো পৃথিবীতে প্রতিফলিত করা। আর এর ফলে আকাশে চাঁদের পরেই দ্বিতীয় উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে দেখা যাবে এটিকে। তবে বিশ্বের অন্যান্য মহাকাশবিজ্ঞানীরা এই পদক্ষেপে খুশি নন। অন্ধকার মহাকাশ বহু নতুন নতুন সৃষ্টির জন্ম দেয়। মহাকাশ পর্যবেক্ষণে অন্ধকার সাহায্য করে। কিন্তু এই উজ্জ্বলতা তাতে প্রতিকৃলতা সৃষ্টি করবে বলেই মনে করছেন তারা। রাশিয়ার এই পদক্ষেপে মহাকাশবিজ্ঞানের গবেষণার ক্ষতি করবে বলে আশঙ্কা তাদের।
রাশিয়ার পক্ষ থেকে অবশ্য এই সমালোচনার জবাব দেওয়া হয়েছে। মায়াক মহাকাশ সম্পর্কে মানুষের কৌতুহল আরও বাড়িয়ে দেবে বলে মনে করছেন তারা। এই ঘটনার পরে বিজ্ঞান সম্পর্কেও মানুষের আগ্রহ বাড়বে বলে রাশিয়ার মহাকাশবিজ্ঞানীরা আশা করছেন। উপগ্রহটি সম্পর্কে তথ্য জানাতে একটি মোবাইল অ্যাপও প্রকাশ করা হয়েছে।