যারা সবসময় ঘরেই অবস্থান করেন এমন গৃহিনীদের ওজন কমানোটা বেশ কঠিনই বটে। কারণ তারা রান্না ঘর এবং ফ্রিজের কাছেই থাকেন। অনেকেই হয়তো ভাবেন গৃহিনী হওয়াটা বুঝি খুবই সহজ কাজ। কিন্তু একজন গৃহিনীই একমাত্র জানেন সংসার সামলিয়ে নিজের যত্ন নেওয়া এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা কতটা কষ্টকর।
যে কোনো গৃহিনীরই উচিত নিজের স্বাস্থ্য ভালো রাখার বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া। কেননা তাদেরকে বাচ্চাদের অফুরন্ত প্রাণশক্তির সঙ্গে পাল্লা দিতে হবে এবং অনন্ত দায়-দায়িত্ব পালন করতে হবে।
এছাড়া ফিট থাকা এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাটা সব গৃহিনীর জন্য আরেকটি চ্যালেঞ্জিং কাজ। সুতরাং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের পদ্ধতি মেনে চলতে হবে।
এখানে রইল গৃহিনীদের জন্য সেরা ডায়েট পরিকল্পনা এবং পরামর্শ।
১. প্রতিবেলা খাবার পরিকল্পনা
আপনি যদি জানেন যে আজরাতে আপনারা বড়সড় ডিনার করবেন তাহলে সেই অনুযায়ীই সকালের নাশতা এবং দুপুরের খাবারের পরিকল্পনা করুন। আপনাকে বের করতে হবে যে, ডিনারে আপনি কত ক্যালোরি খাবেন। সে অনুযায়ী দিনের মোট ক্যালোরির লক্ষ্যমাত্রা পূরণের হিসেব করুন। গৃহিনীদেরকে সতর্কভাবে খাবার খেতে হবে যাতে ওজন বেড়ে না যায়।
২. বেশি বেশি পানি পান করুন
সকালের নাশতায় বড় দুই গ্লাস পানি পান করুন। আর দুপুরের বা রাতের খাবারের সময়ও যথেষ্ট পরিমাণে পানি পান করুন। এছাড়া যখনই তেষ্টা লাগবে তখনই পানি পান করুন। পানি পান করলে আপনি অতিরিক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে পারবেন।
৩. ক্যালোরি কম খান
শুধু স্বাস্থ্যকর খাবার খান এবং ক্যালোরি কমান।
৪. একঘেঁয়েমি কাটাতে খাবার খাবেন না
ঘরে একা থাকার কারণে আপনি হয়তো একঘেঁয়েমিতে আক্রান্ত হতে পারেন। কিন্তু এই অজুহাতে আপনি বেশি বেশি খাবার খাবেন না। তবে যতি ক্ষুধা লাগে তাহলে সবজি এবং চর্বিহীন প্রোটিনযুক্ত খাবার খেতে পারেন। আর খাবার খাওয়ার পরপরই ঘুমানোও ভালো না। গৃহিনীদেরকে সকালের নাশতা খেতে হবে রাজার মতো, দুপুরের খাবার খেতে হবে রানীর মতো আর রাতের খাবার খেতে হবে দরিদ্র মানুষের মতো।
৫. সুযোগ পেলেই শরীরটাকে নাড়ান
যদিও আপনি সারাদিন ঘরেই আটকা পড়ে থাকেন তথাপি আপনি কিছু ক্যালোরি পোড়াতে পারেন। এজন্য আপনাকে যা করতে হবে ঘরে বসেই নাচের মতো শরীর চর্চা করতে পারেন। অথবা পার্কে গিয়ে একটু বেড়িয়ে আসতে পারেন।
৬. নিজের জন্যও রান্না করুন
গৃহিনীরা সাধারণত স্বামী ও সন্তানদের পছন্দনীয় খাবারগুলো রান্না করেন। নিজেদের পছন্দ অপছন্দের ব্যাপারে গুরুত্ব দেন না। কিন্তু ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের জন্য গৃহিনীদেরকে নিজেদের জন্যও রান্না করা শুরু করতে হবে।