পর্যটন জেলা কক্সবাজারে প্রথমবারের মত গড়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক মানের ফিস এ্যাকুরিয়াম। এই এ্যাকুরিয়ামে আছে ১৫০ প্রজাতির সামদ্রিক প্রাণী। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বহু পর্যটক এই এ্যাকুরিয়াম দেখতে যান। কক্সবাজার জেলার প্রধান সড়ক ২৯ নম্বর ঝাউতলায় এই এ্যাকুরিয়াম অবস্থিত। সম্প্রতি এই প্রতিবেদক সরজমিনে রেডিরেণ্ট ফিস ওয়ার্ল্ডে গিয়ে এই সব দৃশ্য নজরে পড়ে। প্রতিদিন বিরল প্রজাতির নতুন নতুন সামুদ্রিক প্রাণী এ্যাকুরিয়ামে আনা হচ্ছে।
এই প্রতিষ্ঠানের জেনারেল ম্যানেজার কাজি নিজামুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছর মৌসুমের সময় দিনে তিন হাজারের মত পর্যটক এই এ্যাকুরিয়াম দেখতে যান। জন প্রতি টিকিট ৩০০ টাকা। আর গ্রুপ ভিত্তিক ছাত্র ছাত্রীরা গেলে তাদের জন্য ডিসকাউণ্টের ব্যবস্থা রয়েছে। এই এ্যাকুরিয়ামে বিরল প্রজাতির প্রাণী সংগ্রহ করার জন্য সমুদ্রে নিজস্ব মাছ ধরার জাহাজও আছে। ২০১৭ সালে ৩ ডিসেম্বর এই এ্যাকুরিয়ামের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এই এ্যাকুরিয়াম জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। যে সব পর্যটক দেখার সুযোগ পায়নি তারা আগ্রহ প্রকাশ করছেন।
পর্যটকরা অবশ্য বলছেন, নতুন এই এ্যাকুরিয়ামে আরও বিরল প্রজাতির সামদ্রিক প্রাণী থাকলে আরও সুন্দর হবে। এ্যাকুরিয়ামটির চারপাশে নানা ভাবে সাজানো হয়েছে এক একটি প্রজাতির প্রাণীর থাকার ব্যবস্থা বড় ছোট প্রাণী গুলোকে দেখতে পর্যটকরা এই মৌসুমে ভিড় জমায়। তবে ৩০০ টাকা টিকিটের কথা শুনে অনেকেই পিছু হটে যায়। তাদের মতে, ৩০০ টাকা অনেক বেশী হয়ে যায়।
একজন পর্যটক বলেন, টিকিটের দাম আরও কম হওয়া উচিত। এরমধ্যে বিদেশীদের জন্য একটু বেশী আর বাংলাদেশী পর্যটকদের জন্য আরও কম হওয়া দরকার বলে কয়েকজন পর্যটক বলেন।
প্রতি বছর কয়েক লাখ পর্যটক কক্সবাজারে সমুদ্র সৈকতে যান। তারা সমুদ্র সৈকত ছাড়াও দর্শনীয় স্থান গুলোতে বেড়াতে যান। নতুন করে কক্সবাজারের ঝাউতলা প্রধান সড়কে আন্তর্জাতিক মানের এ্যাকুরিয়াম হওয়ায় খবর ছড়িয়ে পড়েছে।
এদিকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ছাড়াও প্রতিটি পর্যটন স্পটে টুরিস্ট পুলিশের নজর রয়েছে। তারা নিরাপত্তার জন্য সর্বক্ষণ খোজ খবর নিচ্ছেন।