কানের ওয়াক্স বা ময়লা পরিষ্কারের জন্য কটন বাড ব্যবহার করেন অনেকে। কটন বাড যারা ব্যবহার করেন তারা হয়তো ভাবেন এটি সবচেয়ে স্বাস্থ্যসম্মত পদ্ধতি। এতে আপাতদৃষ্টিতে হয়তো কান পরিষ্কার হয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলেন, অভ্যাসটি স্বাস্থ্যকর নয়। কটন বাড ব্যবহারের ফলে কানে সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। আর বহুদিন ধরে এটি ব্যবহার করলে ছত্রাক সংক্রমণও হতে পারে। আবার অনেকসময় কটন বাডের তুলোর খানিকটা অংশ কানে আটকে থেকে বিপদ বাড়ায়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, নিয়মিত কটন বাড ব্যবহারে কান ভারীও মনে হতে পারে। তাই দ্রুত এটি ব্যবহার বন্ধ করা উচিত। এ ছাড়া এভাবে কান পরিষ্কারের কারণে ময়লা কিছুটা বের হলেও আরো ভেতরে ঢুকে পড়ে। এতে কানের ভেতরে আরো ময়লা জমে।
এমন আরো অনেক ক্ষতিকর দিক আছে কানে কটন বাড ব্যবহারের। আসুন জেনে নেই সেগুলো সম্পর্কে।
১. আঘাত লাগলে কানের পর্দা ফেটে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকে।
২. কটন বাড ব্যবহারের ফলে কানের ভিতরের ময়লা আরও বেশি ভিতরে ঢুকে যায়।
৩. কানের পর্দার আরও কাছে পৌছে যায় ময়লা।
৪. কানে ক্ষত সৃষ্টির আশঙ্কা অনেক বেড়ে যায়।
৫. কানের হাড় ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।
৬. নষ্ট হয়ে যেতে পারে শরীরের ভারসাম্য।
৭. কানের মধ্যে থেকে যতটা না ময়লা বের হয়, তার চেয়ে বেশি ভিতরেই থেকে যায়।
৮. শোনার ক্ষমতা হারানোর সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
মূলত কানের ময়লা সাধারণত বিশেষ কারণ ছাড়া আলাদাভাবে পরিষ্কার করার প্রয়োজন পড়ে না। প্রাকৃতিকভাবেই কানের ময়লা বেরিয়ে আসে। প্রয়োজন হলে কান পরিষ্কারের জন্য ডাক্তারের কাছেই যাওয়া উচিত বলে মত দিয়েছেন গবেষণারা।