বাইরে তাপমাত্রা ৪০ ছুঁই ছুঁই ৷ তারপরও কাজের প্রয়োজনে বাইরে বেরোতেই হবে। তখনই ঘটে বিপত্তি ৷ অতিরিক্ত তাপে অসুস্থ হয়ে পড়ার সামান্য লক্ষ্মণগুলিকে উপেক্ষা করার ফলেই তৈরি হয় পানিশূণ্যতা ও হিট স্ট্রোকের মত মারাত্মক রোগ ৷ যা কখনও কখনও মৃ্ত্যু পর্যন্ত ডেকে আনতে পারে ৷
এই রোগগুলির লক্ষণ জানুন ৷ সতর্ক থাকুন ৷
পানিশূণ্যতা বা ডিহাইড্রেশন: অত্যধিক তাপমাত্রা শরীরের লবন ও পানি শুষে নেয় ৷ বাইরের তাপমাত্রার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রাও বেড়ে যায়। ফলে শরীরে যে পরিমাণ পানির চাহিদা বাড়ে, তা পূরণ হয় না ৷
লক্ষণ:
১। ক্রমশ গলা ও মুখ শুকিয়ে যাবে
২। পেটে ব্যথা শুরু হবে৷
৩। হাত ও পায়ে ক্র্যাম্প বা টান ধরবে
৪। মাংসপেশিতে ব্যথা শুরু হবে
৫। অতিরিক্ত মাত্রায় ঘাম হবে
৬। চোখে ঝাপসা দেখবেন
৭। মাথা ব্যথা, বমি বমি ভাব ও দুর্বলতাও লাগবে।
প্রতিরোধ: যখনই এই ধরণের লক্ষণ দেখবেন, তখনই অপেক্ষাকৃত ঠাণ্ডা জায়গায় বসে পড়ুন ৷ ঠাণ্ডা পানি খেতে থাকুন বারেবারে ৷ প্রয়োজনে লবন চিনির পানি খান ৷
হিট স্ট্রোক : গরমের সবচেয়ে বিপজ্জনক অসুস্থতাই হলো হিট স্ট্রোক। হিট স্ট্রোকের কারণে অনেক মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে। তীব্র রোদ ও গরমে শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রার তারতম্য ঘটে। অনেক সময়ই মানুষ হিট স্ট্রোকের লক্ষণগুলো বুঝতে পারে না বা অনেকে জানেও না। জেনে নিন হিট স্ট্রোকের কারণগুলো-
লক্ষণ:
১। শরীরের তাপমাত্রা খুব বেশি বেড়ে যাবে ও শরীরের পানি দ্রুত কমে যেতে থাকবে।
২। ত্বক শুষ্ক ও ফ্যাকাসে দেখাবে ও অনেক বেশি ঘাম হবে।
৩। শ্বাস ও প্রশ্বাসের দিকে লক্ষ্য করে যদি দেখেন শ্বাস ঘন হয়ে আসছে বুঝবেন হিট স্ট্রোকের লক্ষ্মণ।
৪। বমি শুরু হবে
৫। মাথা ঘোরা শুরু হবে, অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারেন
প্রতিরোধ: দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যান ৷ হিট স্ট্রোকের রোগিকে স্যালাইন পানি, লেবুর সরবত, ফলের শরবত বা গ্লুকোজ দিতে পারেন ৷ শরীরে পানি ঢেলে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে হবে ৷