অন্তিম মুহূর্তে কেমার লরেন্সের গোলে দারুন এক অঘটন ঘটিয়েছে জ্যামাইকা। রোববার কনকাকাফ গোল্ডকাপের সেমিফাইনালে তারা বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মেক্সিকোকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে।
ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ৫ বারের চ্যাম্পিয়ন যুক্তরাস্ট্র। আগামী বুধবার ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা ক্লারায় টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে শনিবার অনুষ্ঠিত প্রথম সেমিফাইনালে স্বাগতিক যুক্তরাস্ট্র ২-০ গোলে কোস্টারিকাকে হারিয়ে ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে।রোববার ক্যালিফোর্নিয়ার রোজবোলে অনুষ্ঠিত ম্যাচের ৮৮তম মিনিটে ফ্রি কিক থেকে বাঁ পায়ের অসাধারণ বাঁকানো শটের সাহায্যে লক্ষ্য ভেদ করেন মেজর লীগ সকারের ক্লাব নিউইয়র্ক রেড বুলসের ২৪ বছর বয়সী ফুল ব্যাক লরেন্স।
খেলা শেষে জ্যামাইকার কোচ থিয়োডোর হুইটমোর বলেন, ‘খেলার মুল কথা হচ্ছে আমরা সেরাটা দিতে পেরেছি।’ টুর্নামেন্টের শুরুতে মেক্সিকো তাদের বি’ক্যাটাগরির খেলোয়াড় নিয়েই মাঠে নেমেছিল। রাশিয়ার অনুষ্ঠিত কনফেডারেশন কাপের খেলোয়াড়দের অধিকাংশকে বিশ্রামে রেখেই গোল্ডকাপের স্কোয়াড সাজিয়েছিলেন দলটির ভারপ্রাপ্ত কোচ লুইস পম্পিলিও পেজ। তবে তাদের অগ্রযাত্রায় কোন ব্যাঘাত ঘটেনি। বেশ সাবলিল ভাবেই পৌঁছে গেছে শেষ চারে।
কিন্তু ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে সেরা খেলোয়াড়দের নিয়েই স্কোয়াড সাজায় মেক্সিকো। আর তাতেই পরজয়ের তেতো স্বাধ নিতে হল বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। কোচ পেজ বলেন, ‘এই পতন থেকে মেক্সিকোকে উঠে দাঁড়াতে হবে। এই ম্যাচে আত্মসমালোচনার পাশাপাশি ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত বিশ্লেষণেরও প্রয়োজন আছে।
আমাদের মানিয়ে নেয়ার বিষয়টি ছিল সবার আগে। সেরাটা দেয়ার ব্যাপারে আমরা যথেষ্ট সচেষ্ট ছিলাম। আমরা যখন জিততে পারলামনা তখন আত্ম-সমালোচনা করে এর প্রতিফলন ঘটাতে হবে। এটিই উন্নতি করার একটি প্রক্রিয়া।’
এটি ছিল মেক্সিকোর বিপক্ষে জ্যামাইকার তৃতীয় বিজয়। এর আগে ২০১৫ সালের গোল্ডকাপের ফাইনালে মেক্সিকানদের কাছে ৩-১ গোলে হার মেনেছিল তারা। চলতি আসরের গ্রুপ পর্বেও পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছিল মেক্সিকো ও জ্যামাইকা। ম্যাচটি গোল শূন্য ড্র হয়।
দ্বিতীয় সেমিফাইনালের ম্যাচে অন্তত ২৫ মিটার দূর থেকে চ্যাম্পিয়নদের জালে বল পাঠাতে সক্ষম হন লরেন্স। বদলী খেলোয়াড় মাইকেল বিনসকে হুগো আয়ালা ফাউল করলে ফ্রি কিকের নির্দেশ দেন রেফারি। ফ্রি কিক থেকে অসাধারণ এক বাঁকানো ক্রসের সাহায্যে গোল করেন লরেন্স (১-০)। এরপর অবশিষ্ট সময়ে গোল পরিশোধ্যের জন্য মরিয়ো হয়ে ওঠেছিল ৭ বারের চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যে সেটি আর সম্ভব হয়নি।