কম্বোডিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশ ৯টি সমঝোতা স্মারক এবং একটি চুক্তি করেছে। এ চুক্তি দু’দেশের বাণিজ্য-বিনিয়োগ, পর্যটন ও তথ্য-প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
আজ সোমবার সকালে নমপেনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের উপস্থিতিতে দুই দেশের প্রতিনিধিরা এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
এর আগে সকাল সাতটার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছান। তাকে স্বাগত জানান হুন সেন। পরে কম্বোডিয়ার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে আটটায় তাদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দু’দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে আলোচনা হয়।
পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতা; তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা; জয়েন্ট ট্রেড কাউন্সিলের অধীনে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে সহযোগিতা; ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য বাস্তবায়নে সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব; বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এন্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ এবং রয়্যাল একাডেমি অব কম্বোডিয়ারের মধ্যে একাডেমিক পর্যায়ে সহযোগিতা এগিয়ে নিতে সমঝোতা স্মারকে সই করেছে বাংলাদেশ ও কম্বোডিয়া।
বাকি সমঝোতা স্মারকগুলো হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, স্মৃতিস্তম্ভ এবং স্মৃতি চিহ্ন সংরক্ষণে সহযোগিতা; মৎস্য ও অ্যাকুয়াকালচার খাতে সহযোগিতা; শ্রম ও কারিগরি প্রশিক্ষণ খাতে সরকারি পর্যায়ে সহযোগিতা; বিনিয়োগ প্রসারে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও কাউন্সিল ফর দি ডেভেলপমেন্ট অব কম্বোডিয়ার মধ্যে সহযোগিতার বিষয়ে।
ফলে এই সমঝোতা স্মারক এবং একটি চুক্তির জন্য দু দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের পাশাপাশি বাণিজ্যিক সম্পর্কও গড়ে উঠবে।