আগামী পাঁচ বছরে ১০ লাখ টন চাল আমদানি করতে কম্বোডিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও কম্বোডিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রী প্যান সোরাসাক দেশটির রাজধানী নমপেনে বুধবার এই চুক্তি সাক্ষর করেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, এই চুক্তির আওতায় চলতি বছরের অক্টোবরের ২ লাখ টন সাদা চাল এবং ৫০ হাজার টন আধা সিদ্ধ চাল কিনবে বাংলাদেশ। প্রতিবেদনে জানানো হয়, এটিই কম্বোডিয়ার সবচেয়ে বড় চাল রপ্তানির চুক্তি।
কম্বোডিয়া সফররত খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘এই বছর বন্যার কারণে আমাদের সমস্যা হয়েছে। তাই কম্বোডিয়ার সাথে সমঝোতা চুক্তি করতে আমি এখানে এসেছি।’
বাংলাদেশকে বিশ্বের চতুর্থ সর্বোচ্চ চাল উৎপাদনকারী দেশ। কিন্তু চলতি বছরের এপ্রিলে অকাল বন্যায় ধানের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এখন শস্য আমদানি করতে হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে কম্বোডিয়া ২ লাখ ৮৮ হাজার ৫৬২ টন চাল রপ্তানি করেছে। আগের বছরের তুলনায়ে এই রপ্তানির পরিমাণ বেড়েছে ৭ দশমিক ৬ শতাংশ
অন্যদিকে, পর্যাপ্ত উৎপাদন থাকায় ২০১২ সাল থেকে বেশ কয়েক বছর ধরে সরকারি পর্যায়ে এবং গত দেড় বছর ধরে বেসরকারি পর্যায়েও চাল আমদানি বন্ধ রেখেছিল বাংলাদেশ।