স্কুল, কলেজ বা অফিসের কাজ শেষে ফেরা হয় বাসা। এরপর বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও সোশ্যাল নেটওয়ার্কে মধ্যরাত পর্যন্ত জেগে থাকা। তারপর কোন মতে একটু শুয়েই পরের দিন আবার কর্মব্যস্ততা।
এই অভ্যাসকে যারা নিয়মিত পালন করছেন তাঁরা ডেকে আনছেন মৃত্যুর শঙ্কা। কম ঘুমের কারণে শুধু মেদবাহুল্য নয়, হানা দিতে পারে আরও নানা ভয়াবহ রোগ। নিয়মিত কম ঘুমে কী কী বিপদ অপেক্ষা করছে চলুন জেনে নেই-
ঠিক মতো ঘুম না হলে আচমকাই বেড়ে যেতে পারে রক্তচাপ। যদি আপনার উচ্চ রক্তচাপজনিত কোনও রোগ না থাকে, তা হলেও তা আচমকাই শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। আর যদি এই রোগ আপনার আগে থেকেই থেকে থাকে, তা হলে আরও বেড়ে যেতে পারে রক্তচাপের মাত্রা।
ঘুম ঠিকমতো না হলে বেড়ে যেতে পারে ওজনও। কেননা ঘুম না হলে ক্ষুধা বেড়ে যায়। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই অতিরিক্ত খাদ্যগ্রহণের ফলে ওজন বাড়তে থাকে।
ঘুমের সময় কমে এলে তার চিহ্ন ফুটে ওঠে ত্বকে। মুখে গজায় ব্রণ ও অ্যাকানি। কারণ ঘুম না হলে হরমোনের সমস্যা হতে থাকে। যার ফলে ত্বকের উপরে প্রভাব পড়া শুরু হয়।
ঘুম কমে এলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ফলে ঠান্ডা লাগা ও সর্দিজ্বরে দুর্বল হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যাবে।
ঘুম কম হলে যেমন দুর্বল লাগতে শুরু করবে তেমনি মেজাজও যাবে বিগড়ে। ঘুম কম হলে কাজেও ঘাটতি পড়ে। ঘুম কম হলে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়।
‘আমেরিকান জার্নাল অফ এপিডেমিওলজি’-তে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, কম ঘুমের ফলে স্পার্ম কাউন্ট কমে যেতে পারে। ডেনমার্কের মোট ৯৫৩ জনের ওপর গবেষণা চালিয়ে গবেষকরা দেখেছেন কম ঘুমান যাঁরা, তাঁদের প্রায় ২৫ শতাংশ স্পার্ম কাউন্ট কমে যেতে পারে। ফলে সন্তান উৎপাদনে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তাই হাজার চিন্তা থাকুক না কেন, ঘুমাতে গেলে, নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়ুন। তাতে যেমন শরীর ভাল থাকবে তেমনি মন মেজাজও থাকবে স্বাভাবিক। রাতের ঘুম যেন অন্তত ৬ ঘণ্টার হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক করেছেন গবেষকরা।