বাংলাদেশের অধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রফতানি বহুমূখীকরন ও সরকারী বেসরকারি অংশীদারিত্বে (পিপিপি) অবকাঠামো উন্নয়নের দুটি প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন করছে। দুপ্রকল্পে সংস্থাটি দুধরণের সুদে ৪৫ কোটি ৭০ লাখ ডলার ঋন দেবে। ঋনের টাকা ৩৮ বছরে পরিশোধ করতে হবে বলে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ জানিয়েছে।
আজ রোববার সকালে শেরেবাংলা নগরস্থ ইআরডি সম্মেলন কক্ষে ইআরডি ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে দুটি ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ইআরডি সচিব কাজী শফিকুল আযম ও বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর কিমিয়াও ফান।এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস প্রকল্প ১০ কোটি ডলার ঋন দেবে বিশ্বব্যাংক।
নতুন বাজারে প্রবেশে সহায়তা কর্মসুচি, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, অবকাঠামোগত দুর্বলতা দুর করা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন। এই প্রকল্পের ছাড়কৃত অর্থের উপর ০.৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ দিতে হবে। অছাড়কৃত অর্থের উপর ০.৫০ শতাংশ হারে প্রতিশ্রুতি ফি দিতে হবে। ৬ বছর গ্রেসপিরিয়ডসহ মোট ৩৮ বছরে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
আর বিনিয়োগ প্রোমশন ও অর্থায়ন সুবিধা প্রকল্পে দিচ্ছে ৩৫ কোটি ৭০ লাখ ডলার। বিশ্বব্যাংক দেবে ১০ কোটি ডলার এবং আইডিএ নমনীয় ঋণ থেকে ২৫ কোটি ৬৭ লাখ ডলার। মোট প্রকল্প ব্যয় ৪১ কোটি ৬৭ লাখ ডলার। বাকীটা বাংলাদেশ সরকারকে দিতে হবে।
প্রকল্পের ঋণের টাকা ৬ বছর গ্রেসপিরিয়ডসহ মোট ৩৮ বছরে পরিশোধ করতে হবে। ৫ বছরের এই প্রকল্প ২০২২ সালের জুনে শেষ হবে। প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতের উন্নয়ন এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বৃদ্ধি।