ডিএমপি নিউজঃ নিজেদের জীবনবাজি রেখে একের পর এক জঙ্গি বিরোধী সফল অভিযান করছে তারা। অসম্ভবকে সম্ভব করে যাচ্ছে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট, যা প্রশংসার দাবি রাখে। ‘কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট একটি ব্র্যান্ড’ বলে জানান ডিএমপি কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া বিপিএম (বার), পিপিএম।
আজ ২২ জুলাই’১৭ শনিবার সকাল ১১ টায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে আয়োজিত লাভেলো আইসক্রিম কর্তৃক কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে গাড়ি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে একথা বলেন ডিএমপি কমিশনার। এ সময় ডিএমপি’র কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটকে একটি মাইক্রোবাস উপহার দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন লাভেলো আইসক্রিমের সিইও মোঃ কামরুজ্জামানসহ ডিএমপি’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
সিইও মোঃ কামরুজ্জামান বলেন- বিগত দিনগুলোতে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের কার্যক্রম দেখে আমরা মুগ্ধ হয়ে আজ একটি গাড়ি উপহার দিচ্ছি। জঙ্গি বিরোধী সফল অভিযান ও জঙ্গি দমনে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের বিভিন্ন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান এবং ভবিষতেও সহযোগিতাপূর্ণ উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন- ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম গঠন হয়েছিল। তারপর থেকে আমরা সন্ত্রাস দমনে কাজ করে যাচ্ছি। কোন দেশে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চলমান থাকলে সে দেশে ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ করতে চায়না। আমরা হলি আর্টিসানের ঘটনার পর থেকে সকল ব্যবসায়ীদের মনে স্বস্তি এনে বিনিয়োগের নিরাপদ স্থান গড়ে তুলতে চেষ্টা করছি। সিটিটিসি’র কার্যক্রম দেখে আমাদের সক্ষমতা বাড়াতে এই গাড়িটি অনুদান দিয়েছেন। এই গাড়িটি ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য নয়। এটা দিয়ে পুলিশের মবিলিটি আরও বৃদ্ধি পাবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন- গাড়ি পাওয়াটা প্রতীকি। পুলিশ ও নাগরিকের মধ্যে ঐক্যের প্রমাণ এটা। জননিরাপত্তা ও জনস্বার্থে সামাজিক দায়বদ্ধতায় তারা এগিয়ে এসেছেন। ডিএমপি’র সাথে জনগণের সম্পর্কের সেতু বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার প্রয়াস এটি।
তিনি আরও বলেন- সিটিটিসি ইউনিট প্রতিষ্ঠার পর আমাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ ছিলো আবাসন, যানবাহন, অফিস ও অন্যান্য লজিস্টিক সার্পোট। সমস্যা মোকাবেলায় বিভিন্ন সংস্থা দাতা হিসেবে নানা সময় অনুদান প্রদান করেছেন। এ জন্য সকলের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান। কাউন্টার টেরোরিজম এখন আর ডিএমপিতে সীমাবদ্ধ নেই সারা বাংলাদেশে তারা তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে। প্রতিনিয়ত আমাদের এ্যাচিভমেন্ট রয়েছে। লাভেলো আইসক্রিম কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে আগামীতেও একসাথে জনগণের স্বার্থে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন ডিএমপি কমিশনার।