আঞ্চলিক জোট পারস্য উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ বা পিজিসিসি থেকে কাতারকে বহিষ্কার করার তৎপরতা চলছে। সৌদি নেতৃত্বাধীন চার দেশের সঙ্গে কাতারের মতপার্থক্য ক্রমেই বেড়ে চলার ধারাবাহিকতায় এমনটি হতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে। এর মধ্যেই তিন দেশটি দেশই পিজিসিসির সদস্য।
লন্ডনের চাথাম হাউজে আজ(সোমবার) দেয়া ভাষণে সংযুক্ত আমিরাতের উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনোয়ার গারগাশ এমনই আভাস দেন। গারগাশ বলেন, পারস্পরিক নিরাপত্তা ও স্বার্থ রক্ষা বিঘ্নিত করে এটি রক্ষায় নিয়োজিত আঞ্চলিক সংস্থার সাথে থাকা যায় না। কাতার সংকট নিয়ে কথা বলতে যেয়ে পিজিসিসি সম্পর্কে এ কথা বলেন তিনি।
এদিকে, পিজিসিসি শেষপর্যন্ত টিকে থাকবে কিনা তা নিয়েও এরই মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে। কাতারে সঙ্গে পুরোপুরি সম্পর্ক ছেদ করেছে ছয় দেশ নিয়ে গঠিত পিজিসিসি’র তিন সদস্য সৌদি আরব, বাহরাইন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। কাতারের বিরুদ্ধে কোনো কঠোর অবস্থান নেয়া থেকে বিরত রয়েছে অপর দুই দেশ কুয়েত এবং ওমান।
প্রধানত সৌদি আধিপত্য মেনে নিতে অস্বীকার করেছে কাতার, কুয়েত এবং ওমান। কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখে সে কথাই হয়ত বুঝিয়ে দিতে চেয়েছে দেশ দুইটি। আর এ অবস্থায় আধিপত্য এবং সার্বভৌম স্বাধীনতার বিরোধী লড়াইয়ে রূপ নিতে চলেছে চলমান বিরোধ। এমন টানাপড়েনের মুখে শেষ পর্যন্ত পিজিসিসি বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে বলেই অনেক পর্যবেক্ষক মনে করছেন।