২০১৬-১৭ অর্থবছরে কাপ্তাই হ্রদ থেকে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) ১২ কোটি ৮১ লাখ টাকার রাজস্ব আয় করেছে। দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার সর্ববৃহৎ কৃত্রিম জলাশয় রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে এটি গত কয়েক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ আয়।
২০১৫–১৬ অর্থবছরে এ খাতে আয় ছিল ১০ কোটি ৬০ লাখ ৭৪ হাজার টাকা। মৎস্য আহরণ হয় রেকর্ড ৯ হাজার ৯৭৫ মে. টন। গত বছর ছিল ৯ হাজার ৫৮৮.৫৫ মে. টন।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) সূত্রে জানা যায়, ১৯৬৫–৬৬ অর্থবছরে মাত্র ১২০৬.৬৩ মে. টন মৎস্য উৎপাদনের মাধ্যমে ৬ হাজার ৪৮১ বর্গমাইলের এই কাপ্তাই হ্রদে বাণিজ্যিকভাবে মৎস্য উৎপাদন শুরু হয়।
মৎস্য ব্যবস্থাপনায় বিএফডিসি কর্তৃক বিভিন্ন কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে হ্রদের মৎস্য উৎপাদন উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। যা অতীতে বিএফডিসি মৎস্য প্রজনন মৌসুমে অবৈধ মৎস্য আহরণ ও পাচার রোধ, মৎস্য আইন বাস্তবায়ন, কার্প জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্তি এবং অভয়াশ্রম ব্যবস্থাপনায় বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।
তাছাড়া বাংলাদেশ মৎস্য গবেষনা কেন্দ্র (বিএফআরই)-এর গবেষণায় এ বছর বন্ধ মৌসুমে মা মাছেরা রেকর্ডসংখ্যক ডিম ছেড়েছে।
রাঙামাটি কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ২০১৬–১৭ অর্থবছরে রাজস্ব আয়ের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ার পিছনে মূল কারণ ছিল গণহারে অবৈধ ঝাঁক অপসারণ, কঠোর নজরদারি, ব্যবসায়ী ও জেলেদের সহযোগিতা।
এর ফলে মাছ আহরণ বন্ধ মৌসুমে মা মাছ নির্ঝঞ্জাটে ডিম ছেড়েছে। এতে করে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার বেশি ও বড় বড় মাছ বিশেষ করে রুই, কাতাল, মৃগেল পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আশা করছি, ২০১৭–১৮ অর্থবছরে রাজস্ব আয়ের রেকর্ড আরো সমৃদ্ধি হবে। এ বছর কাপ্তাই হ্রদে মাছের উৎপাদন বাড়াতে ২৭ টন বড় প্রজাতির মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়।
উল্লেখ্য, বর্তমানে কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ বন্ধ রয়েছে। বৃহত্তম হ্রদ কাপ্তাই লেকে মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিত করতে চলতি বছরের ১ মে থেকে মাছ আহরণ, পরিবহন ও বাজারজাত করনের ওপর তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।