মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশ কাতারে বিদেশী শ্রমিকদের জন্য কাফিল বা স্পন্সর পদ্ধতি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। এর ফলে সেখানে বিদেশী শ্রমিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে। খবর- বিবিসি
কাতারে সব বিদেশী শ্রমিকের নিয়ন্ত্রক তার কাফিল বা স্পন্সর। কাফিলের মাধ্যমেই তাদের চাকুরিতে নিয়োগ হয়।
তাই বেতন ভাতা ঠিক সময়ে না পেলে, কিংবা শোষণের শিকার হলে চাকরি ছাড়ার উপায় নেই। কাফিল প্রতিষ্ঠানের ইচ্ছের বাইরে চাকরি পরিবর্তন করারও সুযোগ নেই। চাকরি ছাড়া কিংবা প্রয়োজনে দেশে ফিরে আসলে আরোপ হয় দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা।
দেশে ফিরতে হলেও কাফিলের অনুমতি কিংবা অনাপত্তির প্রয়োজন হবে না। সেক্ষেত্রে একজন শ্রমিকের বিরুদ্ধে যদি কোন আইনি অভিযোগ না থাকে, সে ইচ্ছা ও প্রয়োজন মত নিজ দেশে ফিরে যেতে পারবে। এছাড়া চাকরি পরিবর্তন করতে চাইলেও পারবে।
বর্তমান কাফিলের সাথে চুক্তি শেষ হলে কিংবা এক প্রতিষ্ঠানে পাঁচ বছর কাজ পর একজন শ্রমিক চাইলে অন্যত্র কাজ করতে পারবেন। তবে, এক্ষেত্রে কাফিলের অনুমতির প্রয়োজন হবে। তবে, নতুন কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান একজন শ্রমিককে বর্তমান নিয়োগকারীর অনুমতি ছাড়াই নিয়োগ দিতে পারবেন। আবার কাতারের শ্রম অধিদপ্তরের অনুমতি নিয়ে একজন শ্রমিক কাফিল বা স্পন্সর পরিবর্তন করতে পারবেন।