জম্মু-কাশ্মীরের বিমানসেনা স্টেশনে ড্রোনের মাধ্যমে হামলার এক সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। তবু হামলার আতঙ্ক যেন কমছেই না ভূস্বর্গে। সপ্তাহে প্রায় প্রতিদিনই জম্মু-কাশ্মীরের আকাশে দেখা মিলেছে ড্রোনের। শনিবার রাতেও জম্মুর সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় দেখা মিলেছে ড্রোনের।
ভারতীয় গোয়েন্দাদের ধারণা, সেগুলো এসেছে পাকিস্তান থেকে। যদিও সেনার তৎপরতায় নতুন করে কোনও নাশকতামূলক ঘটনা ঘটাতে পারেনি এই ‘আনম্যানড আর্মি।’
বলা হচ্ছে, গত শনিবার ড্রোনের মাধ্যমে জম্মু বিমানবন্দরে হামলা ঘটনার পর থেকে জম্মুর আকাশে ১২ বার ড্রোন দেখা গেছে। রবিবার রাতেই জম্মুতে ড্রোন লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে নিরাপত্তারক্ষীরা।
ভারতীয় গোয়েন্দারা মনে করছেন, এর নেপথ্যে রয়েছে পাকিস্তানের লশকর-ই-তাইয়েবা। যদিও সেই ঘটনায় হতাহত হয়নি। বিমানবাহিনীর দু’জন সেনা আহত হয়েছেন। কিন্তু বিষয়টি হালকাভাবে নেওয়ার নয়।
উল্লেখ্য, দেশের নিরাপত্তার বিরুদ্ধে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে ড্রোন। বাজারে অল্প টাকার বিনিময়ে সহজেই মিলছে ড্রোন। যার জেরে দেশের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা বাড়ছে। বৃহস্পতিবার সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতীয় সেনাপ্রধান এম এম নারাভানে। গত শনিবার জম্মুর বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হামলার জন্য প্রথমবারের মতো ড্রোন ব্যবহার করে জঙ্গিরা।