ডিএমপি নিউজ: অতিরিক্ত আইজিপি ও ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন্স) ড. খ: মহিদ উদ্দিন বিপিএম-বার বলেছেন, কিশোর অপরাধ বৃদ্ধির একটি বড় কারণ তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহার। শুধু আইনের আওতায় এনে কিশোর অপরাধ দমন সম্ভব নয়। কিশোর অপরাধ দমনে সামাজিক ও পারিবারিকভাবে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির অয়োজনে ‘সোশ্যাল মিডিয়ার অবাধ ব্যবহারের কারণে কিশোর অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে’ শীর্ষক ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
আজ শনিবার বাংলাদেশ চলচিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (বিএফডিসি) কিশোর অপরাধ বৃদ্ধির কারণ নিয়ে এ ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রস্তাবের পক্ষে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ এবং বিপক্ষে সেন্ট যোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিতার্কিকরা অংশগ্রহণ করে।
ড. খ: মহিদ উদ্দিন বিপিএম-বার বলেন, আজকে যারা কিশোর তারাই আগামীর বাংলাদেশ। তাই কিশোরদের অপরাধে জড়িত হওয়া থেকে আমাদেরকেই রক্ষা করতে হবে। সেই সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার পরিত্যাগ করতে হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তি। এগুলোর ইতিবাচক ব্যবহারের মাধ্যমে উপকৃত হতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ার যে কোন নেতিবাচক ব্যবহার পরিত্যাগ করতে হবে।
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের উত্তরে অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, কিশোর গ্যাং কালচারের নেপথ্যে মদদ দাতাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। এক্ষেত্রে কোন প্রকার হস্তক্ষেপ গ্রহণযোগ্য হবে না।
সভাপতির বক্তব্যে হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার কিশোর অপরাধ বৃদ্ধির প্রবণতাকে আরো বেশি উস্কে দিচ্ছে। বিশেষ করে ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক, ইনস্টাগ্রাম, লাইকি, ইমু, মাইস্পেস, হাইফাইভ, বাদুসহ নানা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার কিশোর অপরাধের মাত্রাকে ভয়ানক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। কিশোর তরুণদের জন্য বর্তমানে নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে ওয়েব সিরিজ। কিছু কিছু অনলাইন প্লাটফর্মে তুমুল অশ্লীলতা, নোংড়া সংলাপ, উদ্ভট গল্প দিয়ে ওয়েব সিরিজ প্রদর্শিত হচ্ছে। এসব ওয়েব সিরিজগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে সহজেই কিশোর-কিশোরীদের আসক্ত করে ফেলছে।
প্রতিযোগিতায় সরকার দল হিসেবে প্রস্তাবের পক্ষে অংশগ্রহণ করে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ এবং বিরোধী দল হিসেবে প্রস্তাবের বিপক্ষে বিতর্কে অংশগ্রহণ করে সেন্ট যোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিতার্কিক দল। প্রতিযোগিতায় আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সেন্ট যোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। বিতর্ক প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।
প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস, ড. রাশেদা রওনক খান, সাংবাদিক এস এম ফয়েজ, সাংবাদিক মাসুদা লাবনী এবং সাংবাদিক জুমাতুল বিদা।