কুর্দিদের আলাদা রাষ্ট্র গঠনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান এবং ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। ইরাকের কুর্দিস্তানের স্বাধীনতা নিয়ে গণভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে দুই নেতা তাদের এই মনোভাব প্রকাশ করেন।
তেহরান সফররত এরদোয়ান গত বুধবার রুহানির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এটা ছিল অবৈধ গণভোট এবং আমাদের কাছে এর কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। কীসের গণভোট তারা আয়োজন করেছে, ইসরাইল ছাড়া তাদের এই উদ্যোগে আর কারও সমর্থন নেই।’ ইসরাইলি গোয়েন্দা বাহিনী মোসাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কুর্দি নেতারা এই গণভোটকে ‘বৈধতার স্বীকৃতি’ দেওয়ার চেষ্টা করলে তা সফল হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। ইরাক বা সিরিয়ার মতো দেশগুলোকে বিচ্ছিন্ন করতে কুর্দিদের এমন গণভোটসহ যেকোনও ধরনের হুমকির মোকাবিলা তুরস্ক ও ইরান একসঙ্গে কাজ করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
অপরদিকে, ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেন, কুর্দিদের স্বাধীনতার দাবির পিছনে রয়েছে ‘বিদেশি বিচ্ছিন্নতাবাদী পরিকল্পনা’। গণভোট আয়োজনের জন্য কুর্দি কর্মকর্তাদের দায়ী করে তিনি বলেন, ‘ইরান আমাদের কাছে একক একটি দেশ। এখানকার মানচিত্রে কোনও ধরনের বদল আমরা মেনে নেবো না।’ রুহানি বলেন, ‘তবে ইরাকি কুর্দিরা আমাদের খুব ভালো প্রতিবেশী, আমরা ভাই-ভাই। আমরা চাই না তাদের ওপর কোনও ধরনের চাপ আসুক।’
প্রসঙ্গত, গত ২৫ সেপ্টেম্বর উত্তর ইরাকের আধা-স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তানের স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। এতে কুর্দিরা ইরাক থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পক্ষে নিজেদের রায় দেন। কিন্তু কুর্দিদের এই স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে ইরাক, ইরান ও তুরস্ক। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র এবং জাতিসংঘ গণভোটের বিরোধিতা করে বলেছে, কুর্দিদের স্বাধীনতার দাবি ওইঅঞ্চলে আইএসের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান থেকে মনোযোগ সরিয়ে দেবে এবং সিরিয়ার গৃহযুদ্ধেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।