সদ্য শেষ হওয়া অর্থবছরে কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা। বছর শেষে দেখা গেছে বিতরণ হয়েছে ২০ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকা। চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এ খাতে ঋণের লক্ষ্যমাত্রা আগের অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ১৬ শতাংশ বাড়ানো হচ্ছে। অর্থাত্ ব্যাংকগুলোর জন্য লক্ষমাত্রা ধরা হচ্ছে ২০ হাজার ৩৬০ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় কৃষি ও পল্লীঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস.এম মনিরুজ্জামান এ নীতিমালা ঘোষণা করবেন। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও সংশ্লিস্ট বিভাগের মহাব্যবস্থাপক ছাড়াও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীরা উপস্থিত থাকবেন।
জানা গেছে, আগের বছরের মতই শস্য ও ফসল চাষের ক্ষেত্রে সিআইবি রিপোর্ট ছাড়াই একজন কৃষক সর্বোচ্চ আড়াই লাখ টাকা ঋণ নিতে পারবেন। এছাড়া সরকারি ও বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নিজস্ব নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে বাধ্যতামূলকভাবে নির্ধারিত কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণ লক্ষ্যমাত্রার ন্যূনতম ৩০ শতাংশ বিতরণ করার যে বিধান ছিল তাই থাকছে। আর নেটওয়ার্ক অপতুলতার কারণে বিদেশী ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে এ নিয়ম কার্যকর না হওয়ার যে বিধান ছিল তা বহাল থাকবে। এর বাইরে অন্যান্য মূল নীতিমালায় খুব বেশি পরিবর্তন আসছে না। সেগুলো আগের মতই থাকছে।