গত ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয় বিভাগের ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট লিগে নিচের সারির দলগুলোকে নিয়ে আয়োজিত টুর্নামেন্টে একটি ম্যাচও জিততে পারেনি একসময়ের বিশ্বকাপ খেলা কেনিয়া। বাজে পারফরম্যান্সের কারণে দ্বিতীয় বিভাগ থেকে তৃতীয় বিভাগে অবনমন ঘটে দলটির। এর প্রতিক্রিয়ায় বোর্ডের সভাপতি, দলের কোচ এমনকি দলের অধিনায়কও পদত্যাগ করেন।
কেনিয়ার ক্রিকেটকে নতুন করে ঢেলে সাজাতে নির্বাচন করার কথা ভেবেছিল দেশটির ক্রিকেট কর্তৃপক্ষ । সেখানেও বাঁধে বিপত্তি। সাবেক কিছু খেলোয়াড় নতুন নির্বাচনে বাঁধা দেন। তাদের দাবি, কেনিয়া ক্রিকেটের অর্থায়নের অপব্যবহারের আগে তদন্ত করতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে ক্রিকেট কাঠামোতে হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয় দেশটির সরকার। গতকাল স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ক্রিকেট বোর্ড অব কেনিয়াকে বিলুপ্ত ঘোষণা করে দেশটির সরকার।
কেনিয়ার ক্রিকেটের এমন পরিণতি নিয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়নি বিশ্ব ক্রিকেটের প্রধান নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। তবে সংস্থাটির হেড অব গ্লোবাল ডেভলপমেন্ট উইলিয়াম গ্লেনরাইট দেশটিতে আগামী মাসে সফরে যাবেন বলে জানিয়েছেন। নিয়মানুযায়ী কোনো দেশের ক্রিকেট বোর্ডের কাজে সে দেশের সরকার হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। এই নিয়ম ভাঙার ফলে কেনিয়ার ক্রিকেট এখন হুমকির মুখে। আইসিসির সদস্যপদ হারাতে পারে তারা। এমনটা হলে অতল গহ্বরে হারিয়ে যাবে স্টিভ টিকলো, মরিস ওদুম্বে, থমাস ওদেয়ো, হিতেশ মোদিদের নিয়ে গড়া একসময়ের সম্ভাবনাময় দলটি।