কেনিয়ায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় পাঁচজন নিহত হয়েছে। বিরোধী দলীয় নেতা রায়লা ওদিঙ্গা মঙ্গলবারের নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক ‘জালিয়াতি’র অভিযোগ আনার পর দেশটিতে ভয়াবহ সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এরপরে রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভে এ নিহতের ঘটনা ঘটে।
এদিকে বিরোধী দলীয় নেতা ওদিঙ্গার আদি শহর কিসুমুতে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ এ সময় বিক্ষোভ দমাতে কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে। তখন বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হলে একজন গুলিবিদ্ধ হয়। সিটি পুলিশের প্রধান জ্যাফেথ কুমি বলেন, বুধবার রাজধানী নাইরোবিতে দুইজন গুলিতে নিহত হয়েছে। তিনি বলেন, তারা বিক্ষোভের নামে সেসময়ে চুরির চেষ্টা করেছিল। এ কারণে তাদেরকে গুলি করা হয়েছে। এর একদিন আগে দক্ষিণ মুগিরাঙ্গোর কিসিলি কাউন্টিতে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়। বাকি একজন দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় তানা রিভার অঞ্চলে নিহত হয়।একটি ভোট গণনা কেন্দ্রে পাঁচ ব্যক্তি ছুরি নিয়ে হামলা চালালে ওই ব্যক্তি নিহত হয়। স্থানীয় পুলিশ কমান্ডার লিওনার্দ কাটানা এ কথা বলেন।
আঞ্চলিক পুলিশ কর্মকর্তা ল্যারি কিং জানান, হামলা প্রতিহত করতে আমাদের পুলিশ বাহিনী তাদের ওপর চড়াও হয়। এসময় পুলিশের গুলিতে দুইজন নিহত হয়। তিনি বলেন, যারা পালিয়ে গেছেন তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ল্যারি কিং বলেন, আমরা এখনো জানিনা কি কারণে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। এটা রাজনৈতিক না অন্য কিছু তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।গত মঙ্গলবার দাঙ্গার আশঙ্কার মধ্যেই কেনিয়ায় ভোট গ্রহণ হয়। বিবিসি জানায়, ভোটের প্রাথমিক ফলে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট উহুরু কেনিয়াত্তার বড় জয়ের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। কিন্তু বিরোধী দলীয় নেতা ওদিঙ্গা অভিযোগ করেন, ইলেক্টোরাল কমিশনের আইটি সিস্টেম হ্যাক হয়েছে। যদিও কেনিয়ার নির্বাচন প্রধান ওয়াফুলা চেবুকাতি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস আমাদের আইটি সিস্টেম ঠিকই আছে।
যেহেতু অভিযোগ করা হয়েছে তাই বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।উল্লেখ্য দেশটিতে ২০০৭ সালের নির্বাচন পরবর্তী দাঙ্গায় ১১শর বেশি মানুষ নিহত এবং ছয় লাখের বেশি মানুষ গৃহহীন হয়।