কেনিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণার পরপরই এর পক্ষে-বিপক্ষের জনগণ রাস্তায় নেমে আসে। একদিকে ভুভুজেলা বাঁশি বাজিয়ে এবং পতাকা উড়িয়ে উল্লাস প্রকাশ করে বিজয়ী সমর্থকরা। অন্যদিকে বিরোধী সমর্থকরা ব্যাপক বিক্ষোভ-সহিংসতা শুরু করে।
পূর্ব আফ্রিকার দেশটিতে এ নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট উহুরু কেনিয়াত্তা পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার পর এ সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। বিরোধী প্রবীণ নেতা রাইলা ওডিঙ্গার বিক্ষুব্ধ সমর্থকরা রাস্তায় টায়ার পুড়িয়ে ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে বিক্ষোভ প্রকাশ করে। দেশটিতে ২০০৭ সালের নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার এক দশকের পর আবার এই নির্বাচনকে কেন্দ্রকরে ব্যাপক সহিংসতা শুরু হয়। আগের ওই নির্বাচনের পরও জাতিগতভাবে বিভক্ত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দুই মাস ধরে রক্তক্ষয়ী সহিংসতা হয়। এসব সহিংসতায় ১ হাজার ১শ’ লোকের প্রাণহানি ও ছয় লাখ লোক গৃহহীন হয়ে পড়ে।
কেনিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় কিসুমু নগরীতে একজন বিক্ষোভকারী বলেন, ‘তারা কেনো নিরীহ মানুষকে লক্ষ্য করে গুলি করছে। এসব নিরীহ মানুষ তাদের মনোভাব প্রকাশ করছে মাত্র?’ তিনি আরো বলেন, ‘কেনো তারা উহুরুকে জনগণের ওপর চাপিয়ে দিতে চাইছে?’ ওডিঙ্গা দাবি করেছেন যে নির্বাচনে কারচুপির মাধ্যমে জোর করে তাকে হারিয়ে দেয়া হয়েছে। এর পরপরই সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।
টেলিভিশনে ভোটের ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণার পরপরই কিসুমুর কোন্ডেলে এলাকার মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করে। এসময় দাঙ্গা পুলিশের সঙ্গে তাদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। কিসুমুর বিক্ষোভ কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিসহ অন্যান্য নগরীগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে।