কেস ফলোআপঃ ১৭
ডিএমপি নিউজঃ ছিনতাইকারীর হাতে নিহত হেলেনা বেগম হত্যা মামলার কেস ফলোআপ।
ঘটনার তারিখ ও সময়ঃ ২৬/০১/২০১৮ খ্রিঃ তারিখ সময় ভোর অনুমান ০৫.২০ টা
ঘটনাস্থলঃ ধানমন্ডি মডেল থানাধীন মিরপুর ৭নং রোডের মাঝখানে রাস্তার উপর।
বাদীঃ মোঃ মনিরুল ইসলাম ওরফে মন্টু (ভিকটিমের স্বামী)
মামলা নং ও তারিখঃ ধানমন্ডি মডেল থানার মামলা নং-৫ তারিখঃ ০৭/০২/২০১৮ খ্রিঃ।
ধারাঃ ৩৯৪/৩০২/৩৪ পিসি।
তদন্তকারী সংস্থাঃ ধানমন্ডি মডেল থানা, ডিএমপি, ঢাকা।
অভিযোগ পত্রঃ ধানমন্ডি মডেল থানার অভিযোগ পত্র নং-১৭১, তারিখঃ ৩০/১১/২০১৮ খ্রিঃ।
মোট অভিযুক্তঃ ০৪ জন ।
আলামতঃ ০২ টি ।
মোট সাক্ষীঃ ২১ জন ।
মোট নিহতঃ ০১ জন।
কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিঃ ০৩ জন।
এজাহারের সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ
বাদী ও তার স্ত্রী নিহত হেলেনা বেগম বরিশাল হতে লঞ্চে করে ঢাকায় আসেন। অতঃপর ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে থেকে ৭নং বাসযোগে ধানমন্ডি প্লাজার সামনে নামেন। সেখান থেকে বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে ২৬/০১/২০১৮ খ্রিঃ তারিখ ভোর অনুমান ০৫.২০ টায় ৭নং রোডের মাঝ বরাবর মিরপুর রোড পার হওয়ার সময় নিউ মার্কেটের দিক থেকে আসা একটি সাদা প্রাইভেটকারের ড্রাইভার তার স্ত্রীর বাম হাতে থাকা ভ্যানিটি ব্যাগ ধরে টান দেয়। তার স্ত্রী গাড়ির সাথে ছেচড়াতে ছেচড়াতে প্রায় ৫০ গজ যাওয়ার পর ছিনতাইকারী ভ্যানিটি ব্যাগটি নিয়ে নেয়। তখন তার স্ত্রী নিচে পড়ে যায় এবং ছিনতাইকারীর প্রাইভেট কারের পিছনের চাকার নিচে পড়ে মাথা থেতলে ফেটে যায়। বাদীর স্ত্রী ঘটনস্থলে মারা যায়। ছিনতাইকারীরা ১টি মুঠোফোনসহ মোট ১০ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে যায়।
তদন্তঃ
সম্পূর্ণ ক্লুলেস লোমহর্ষক মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করে ডিএমপির ধানমন্ডি মডেল থানা। ধানমন্ডি থানা পুলিশ তাদের দীর্ঘ তদন্ত শেষে ঘটনার সাথে ৪ জনের সম্পৃক্ততা পায়। এর মধ্যে ৩ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত ৩ জনই বিজ্ঞ আদালতে কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক তাদের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করেন। বাকী ১ জন পলাতক আছেন।
গ্রেফতারকৃত ০৩ জন হলোঃ
১। মোঃ শিমুল হোসেন
২। মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন
৩। মোঃ জাকারিয়া হাওলাদার ওরফে জাকির
পলাতক ০১ জন হলোঃ
১। মোঃ মিজান শেখ
মামলার বর্তমান অবস্থাঃ মামলাটি বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন।