কেস ফলো–আপঃ ৯
ঘটনার তারিখ ও সময়ঃ ২৪ অক্টোবর, ২০১৫ রাত ০১.৪৯ টা
ঘটনাস্থলঃ চকবাজার মডেল থানাধীন হোসাইনী দালান ইমাম বাড়িতে আঙ্গিনার ভিতর।
বাদীঃ মোঃ জালাল উদ্দিন, এসআই চকবাজার মডেল থানা, ডিএমপি, ঢাকা।
মামলা নাম্বারঃ চকবাজার মডেল থানার মামলা নং-১৯, তারিখঃ ২৫/১০/২০১৫ ইং।
ধারাঃ সন্ত্রাস বিরোধী আইন-২০০৯ (সংশোধনী-২০১৩) এর ৬(২) এর (ক) এর (ঈ)।
তদন্তকারী সংস্থাঃ গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগ, ডিএমপি, ঢাকা।
অভিযোগ পত্রঃ চকবাজার মডেল থানার অভিযোগপত্র নং-৭৪, তারিখ-২১/০৪/২০১৬ ইং।
ধারাঃ সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯ (সংশোধনী-২০১৩) এর ৬(২) এর (ক) (খ) (গ) (ঘ) (ঙ)।
মোট অভিযুক্তঃ ১০ জন ।
আলামতঃ ৩২ টি।
মোট সাক্ষীঃ ৪৬ জন ।
মোট নিহতঃ ০১ জন (সাজ্জাদ হোসেন সানজু।
মোট আহতঃ ১১৪ জন।
কার্যবিধি ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্দিঃ ০৩ জন।
এজাহারের সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ
বাদী এসআই জালাল উদ্দিন এজাহার দায়ের করেন যে, পবিত্র আশুরা উপলক্ষে গত ২৩/১০/১৫ ইং তারিখ হোসাইনী দালান ইমাম বাড়ি প্রাঙ্গন এলাকায় কর্তব্যরত অবস্থায় থাকাকালে ২৪/১০/১৫ ইং তারিখ রাত অনুমান ০১.৪৯ টার সময় ইমাম বাড়ি আঙ্গিনার ভিতর পরপর ০৩ টি বোমা বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান। তিনি দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেন। বোমা বিস্ফোরণে আহত নারী, পুরুষ ও শিশুদের এ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে প্রেরণের ব্যবস্থা করেন। বাদী ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত জব্দ করেন। ঘটনাস্থলে থাকা ০২ টি গ্রেনেড বোমা বিশেষজ্ঞ দল দিয়ে নিষ্ক্রিয় করা হয়। পরবর্তী সময়ে তিনি জানতে পারেন চিকিৎসারত অবস্থায় হাসপাতালে ০১ জন মারা যায়। মুসলিম শিয়া সম্প্রদায়ের সদস্যরা প্রতি বছর পবিত্র আশুরা উপলক্ষে শোক মিছিল বের করে। শতবছরের ঐতিহ্যবাহী শান্তিপূর্ণ শোক মিছিলে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে শোক মিছিল থেকে বিরত রাখা, বাংলাদেশের জনগনের মধ্যে বিরাজমান সংহতি নষ্ট করা এবং জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করার লক্ষ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বোমা/গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ০১ জনকে হত্যা ও শতাধিক ব্যক্তিকে জখম করে।
তদন্তঃ চাঞ্চল্যকর সম্পূর্ণ ক্লুলেস ও লোমহর্ষক মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করে গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগ, ডিএমপি, ঢাকা। তদন্তকালে অত্র ঘটনার সাথে জড়িত ১০ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। পুলিশ ১০ জনকেই গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করে যার মধ্যে ০৩ জন ফৌঃ কার্যবিধি ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
গ্রেফতারকৃত ১০ জন হলোঃ
১। মাসুদ রানা ওরফে সুমন (২১), পিতাঃ হাসান আলী মন্ডল, সাং-কেশরতা, থানা-আদমদিঘী, জেলা-বগুড়া।
২। মোঃ কবির হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আসিফ (২৮), পিতা- মোজাম্মেল হক, মাতা-করিফুল বেগম, সাং-কচুয়া দক্ষিণপাড়া, থানা-সাঘাটা, জেলা-গাইবান্ধা।
৩। আবু সাইদ ওরফে সাইদ ওরফে সালমান (২২), পিতা-হাফিজ উদ্দিন সরকার, সাং-ঘাসিপাড়া ডাবগাছ মসজিদ (ওয়ার্ড নং-২), থানা-কোতয়ালী, জেলা-দিনাজপুর।
৪। মোঃ আরমান ওরফে মনির (২৭), পিতা-মৃত আব্দুর রশিদ, মাতা-আলেয়া বেগম, বাসা নং-১১, পশ্চিম ইব্রাহীম নগর বালুর মাঠ (তালেব আলী মাতুব্বর রোড), থানা-কামরাঙ্গীর চর, ডিএমপি, ঢাকা।
৫। জাহিদ হাসান রানা ওরফে মূসায়েব (২২), পিতা-জাকির হোসেন ওরফে ডিস জাকির, সাং-৪ন গলি পূর্ব রসুলপুর (পূর্ব রসুলপুর প্রাইমারী সংলগ্ন), থানা-কামরাঙ্গীর চর, ডিএমপি, ঢাকা।
৬। রুবেল ইসলাম ওরফে সুমন ওরফে সজিব (২২), পিতা-আমিনুল হক, মাতা-রহিমা খাতুন, সাং-জামবাড়ী বল্লভপুর, থানা-নবাবগঞ্জ, জেলা-দিনাজপুর।
৭। চান মিয়া (৩২), পিতা-মোঃ মতিন মিয়া, মাতা-হাজেরা বেগম, সাং-ডিমলা পদুম শহর (কুমারবাড়ী), থানা-সাঘাটা, জেলা-গাইবান্ধা।
৮। ওমর ফারুক ওরফে মানিক (২৮), পিতা- গোলাম মোস্তাফা, মাতা- ফাতেমা বেগম, সাং-লেংগুড়া মধ্যপাড়া, থানা-কলমাকান্দা, জেলা-নেত্রকোনা।
৯। হাফেজ আহসানুল্লাহ মাহমুদ (২৯), পিতা-মৃত কারী আব্দুল গফুর, মাতা-ফাতেমা আক্তার, সাং-ঝিগাতলা পশ্চিমপাড়া, থানা-কলমাকান্দা, জেলা-নেত্রকোনা।
১০। শাহজালাল মিয়া (৩৮), পিতা-দ্বীন মোহাম্মদ মিয়া, মাতা-সায়িদা খাতুন, সাং-বড়ইতলী, থানা-কালিয়াকৈর, জেলা-গাজীপুর।
মামলার বর্তমান অবস্থাঃ মামলাটি বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন।