ডিএমপি নিউজঃ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের লালবাগ গোয়েন্দা বিভাগের একটি টিম কোতোয়ালী ও লালবাগ থানার ধর্ষণ মামলায় এজাহারনামীয় দুইজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃতদের নাম- মোঃ সাইফুল ইসলাম (২৮) ও মোঃ নাজমুল হুদা (২৫)। ১১ অক্টোবর ২০২০ তারিখ রাজধানীর আজিমপুর ও মগবাজার এলাকা হতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য যে, মামলার ভিকটিমের সাথে প্রেমের সম্পর্ক করেন অভিযুক্ত হাসান আল মামুন। সম্পর্কের এক পর্যায়ে ভিকটিমকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ০৩ জানুয়ারি ২০২০ তারিখ লালবাগের নিজ বাসায় ধর্ষণ করেন হাসান আল মামুন। এরপর হতে মামুন আত্মগোপন করেন। এক পর্যায়ে এজাহারভুক্ত অপর আসামী নাজমুল হাসান সোহাগ ভিকটিমকে আত্মগোপনে থাকা মামুনের সাথে দেখা করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ সদরঘাটে নিয়ে যান। একই দিনে ভিকটিমকে কৌশলে লঞ্চে করে চাঁদপুর নিয়ে যান সোহাগ। চাঁদপুর গিয়ে মামুনকে না পেয়ে ভিকটিমের সন্দেহ হলে তিনি দ্রুত ঢাকায় ফিরে আসতে চান। চাঁদপুর থেকে ফেরার পথে লঞ্চের কেবিনে নাজমুল হাসান সোহাগ ভিকটিমকে ধর্ষণ করেন। পরবর্তী সময়ে মামলার অন্যান্য অভিযুক্তরা ভিকটিমকে নিয়ে নানাভাবে কুৎসা রটাতে থাকেন এবং বিভিন্ন ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে তার চরিত্র নিয়ে কথা বলে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃতরা ভিকটিমকে ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য অভিযুক্ত নুুরুল হক নুরের সাথে সম্মিলিতভাবে হুমকি দেয়। গ্রেফতারকৃত সাইফুল ইসলাম ভিকটিমের সম্পর্কে কুৎসা রটাতে নাজমুল হুদাসহ আব্দুল্লাহীল বাকীকে ঠিক করে। পরবর্তী সময়ে নাজমুল ও সাইফুল বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে ভিকটিমের চরিত্র নিয়ে বিভিন্ন ধরনের পোষ্ট ছড়াতে থাকে।
গ্রেফতারকৃতদের ০৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।