ঈদে চর্বিযুক্ত খাবার খেয়ে শরীরে জমে বাড়তি কোলেস্টেরল। যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এ ক্ষেত্রে উপকার পাবেন কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রক খাবারে।
কোলেস্টেরল দেহের কোষের দেয়ালে থাকে। যা চর্বিযুক্ত খাবারের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে। পরে যকৃত্ থেকে রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে দেহে ছড়ায়। এটি শরীরের হরমোন তৈরি, চর্বিতে দ্রবণীয় ভিটামিন পরিপাক এবং ভিটামিন ‘ডি’ তৈরিতে সাহায্য করে। এটি ভালো কোলেস্টেরল। আরেক ধরনের কোলেস্টেরল আছে, যা দেহের জন্য ক্ষতিকর, এটি ধমনির দেয়ালে জমাট বেঁধে রক্ত চলাচলে বাধা দেয়। ফলে উচ্চ রক্তচাপ ও হার্ট অ্যাটাক ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। তাই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে বেছে নিন কিছু উপকারী খাবার।
গ্রিন টি
গ্রিন টি বা সবুজ চায়ে আছে পলিফেনল। এটি মানুষের শরীরে দারুণ উপকার দেয়। এটি শরীরের বাজে কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। গ্রিন টি আমাদের শরীরকে সতেজ ও উত্ফুল্ল রাখতে সাহায্য করে। এটি হৃদেরাগ ও ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায়। নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে শরীরের মেদকোষে বেশি শর্করা ঢুকতে পারে না। ফলে এই চা আমাদের শরীরের ওজন ও রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
জলপাই
জলপাইয়ে রয়েছে মনো-আনসেচুরেটেড ফ্যাটি এসিড ও ভিটামিন ‘ই’। এটি বাজে কোলেস্টেরল কমায়, ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়। তাই দেহের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে জলপাইয়ের তেল বা জলপাইয়ের আচার খেতে পারেন। কিংবা জলপাই তেলে মাখানো ভেজিটেবল সালাদ রাখতে পারেন চর্বিযুক্ত খাবারের রেসিপির সঙ্গে।
রসুন
রসুনে আছে অ্যামাইনো এসিড, ভিটামিন, খনিজ ও অর্গানোসালফার যৌগ। শরীরে বাজে কোলেস্টেরল কমাতে কার্যকর রসুন। এটি রক্তচাপ কমানোর ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর রসুন দৈনিক অর্ধেক বা এক কোয়া করে খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা ৯ শতাংশ কমতে দেখা যায়।
আমলকী
আমলকী শুধু ভিটামিন আর খনিজ উপাদানেই ভরপুর নয়, বিভিন্ন রোগ দূর করায়ও রয়েছে অসাধারণ গুণ। আমলকীতে থাকা ভিটামিন ‘সি’ রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়, সর্দি-কাশি ঠেকায়। আয়ুর্বেদশাস্ত্রেও আমলকী রসের গুণকীর্তন রয়েছে। নিয়মিত আমলকীর রস খেলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে। অ্যামিনো এসিড ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় হৃদযন্ত্র ভালো থাকে।
ধনে
ধনে দেহের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমায় এবং উপকারী কোলেস্টেরল বাড়ায়। এতে দেহের রক্তসঞ্চালনব্যবস্থা উন্নত হয়। হৃিপণ্ড থাকে সুস্থ ও সবল। নিয়মিত রান্নায় ধনে গুঁড়া ব্যবহার করলে দেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা সহজেই নিয়ন্ত্রিত থাকবে।