ডিএমপি নিউজ: আজ ১৩ মে, ২০১৭ সন্ধ্যায় রাজধানীর পুলিশ কনভেনশন সেন্টারে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) এর অভিষেক ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব আসাদুজ্জামান খান এমপি।
অনুষ্ঠানে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি বলেন, ক্র্যাবের সদস্য এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে অত্যন্ত সুন্দর সম্পর্ক রয়েছে। যার প্রমান আজকের অনুষ্ঠানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের উপস্থিতি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার সংবাদপত্রের পূর্ণ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। আমরা কোন খবর সেন্সর করিনা, নিয়ন্ত্রণ আরোপ করিনা। যেটা আপনারা ইতোমধ্যেই দেখতে পাচ্ছেন। কারণ আমরা চাই লেখালেখির মাধ্যমে অনেক অজানা তথ্য বেরিয়ে আসুক।
বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা এমন কোন সংবাদ পরিবেশন করবেন না যা মানুষকে আহত করে বা মানবতার পরিপন্থি হয়।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ইন্সপেক্টর জেনারেল, বাংলাদেশ পুলিশ এ কে এম শহীদুল হক বলেন, পুলিশ ও ক্রাইম রিপোর্টাররা একই সাথে কাজ করে। আমরা তাদেরকে একই অঙ্গনের মনে করি। আমাদের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা খুবই প্রয়োজন। কারণ আমাদের লক্ষ্য একই।
আইজিপি বলেন, অপরাধীরা অপরাধ করে ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে গাঁ ঢাকা দেয়। আমাদেরকে ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার ও পরিশ্রম করে তাদেরকে গ্রেফতার করতে হয়। বনানীর ঘটনায় মামলা রুজুর হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে আসামীদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ সরকারের আমলে কোন অপরাধী তা সে যত প্রভাবশালী হোক না কেন কাউকেই ছাড় দেওয়া হয়নি। কারণ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন অপরাধীকে অপরাধী হিসাবে দেখতে হবে। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকেই কাজ করছি।
তিনি বলেন, জঙ্গি বিরোধী অভিযানে রিপোর্টাররা আমাদের সাথেই থাকেন, তারা যা দেখেন বা যা সত্যি তাই প্রকাশ করেন। একসাথে কাজ করতে গিয়ে কোন সমস্যা হলে আপনার উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করবেন যাতে কোন অযথা ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি না হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ ক্র্যাবের নব নির্বাচিত কমিটির সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তাদের সাথে একযোগে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, আমি নির্দ্বিধায় বলব ক্রাবের প্রতিটি সদস্যদের সাথে পুলিশের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়, গভীর আস্থা ও বিশ্বাসের। ক্রাইম রিপোর্টারদের সাথে আমাদের সম্পর্ক পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের ভিত্তিতে। তারা আমাদের সবচেয়ে ক্লোজ ওয়ার্কিং পার্টানার।
কমিশনার বলেন, অপরাধী দমন, সন্ত্রাস দমন, জঙ্গি দমন ও জননিরাপত্তা বিধানে তাদের রিপোর্ট আমাদের জন্য সহায়ক। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় এ ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, জননিরাপত্তা বিধানে আমরা দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। জন হয়রানি রোধ করে জনগণ ও পুলিশের মধ্যে একটি সুসম্পর্ক তৈরি করে প্রোঅ্যাকটিভ পুলিশিং সুশাসন নিশ্চিত করতে পারে। আমাদেরকে আইন মেনে কাজ করতে হয়। শুধু সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনেই নয়, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেট কেন্দ্রিক অপরাধও এখন অনেকাংশে কমে গেছে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশের কোন সদস্যের বিচ্যুত আচরণকে আমরা ছাড় দেই না। গোষ্ঠিগত স্বার্থ বাদ দিয়ে আমরা সবাই এক সঙ্গে কাজ করব।