উপবৃত্তি পাওয়া প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের মায়েদের মধ্য থেকে ১০ লাখ মাকে ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে নারী উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার সংকল্পের কথা জানিয়েছেন রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. আতাউর রহমান প্রধান।
তিনি বলেন, ‘মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে উপবৃত্তির টাকা পৌঁছে দিয়ে আমরা এই সেবা সম্পর্কে গ্রামে-গঞ্জে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। এখন আমরা চিন্তা করছি, এই এক কোটি মায়ের মধ্য থেকে ১০ লাখ মাকে নারী উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলব। যেসব মায়ের পক্ষে ঘরে বসে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বা যেকোনো ধরনের ব্যবসায় উদ্যোগ নেওয়ার সুযোগ আছে সে ধরনের উদ্যোগে আমরা ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা করে ক্ষুদ্র ঋণ দেব। ঋণের টাকাও তাদের মোবাইল ব্যাংকিং হিসাবে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। কিস্তিও পরিশোধ করবে তারা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। ব্যাংকে আসতে হবে না। ‘
তিনি আরো বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। ইতিমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। অনুমতি পেলেই আমরা বাকি কার্যক্রম শুরু করব। ‘
আতাউর রহমান প্রধান বলেন, মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে উপবৃত্তির টাকা বিতরণের ফলে মায়েরা ঘরে বসে তাদের সন্তানদের উপবৃত্তির টাকা পেয়ে যাচ্ছেন। এটা তাঁদের আর্থিক উন্নয়নে অবদান রাখছে।
বর্তমানে দেশব্যাপী ষাট হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় এক কোটি ৩২ লাখ শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা তাদের মায়েদের মোবাইল ব্যাংকিং হিসাবে পাঠিয়ে দিচ্ছে সরকার। এ উপবৃত্তি তুলতে কোনো সার্ভিস চার্জ নেই।
মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা উপবৃত্তি বিতরণ বাংলাদেশ সরকারের সবচেয়ে বড় পেমেন্ট ডিজিটালাইজেশন প্রকল্প। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, রূপালী ব্যাংক এবং শিওরক্যাশ এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। এই প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি মা একটি করে মোবাইল ব্যাংকিং হিসাব খুলতে পারছেন, যা উপবৃত্তির টাকা পাওয়া ছাড়াও টাকা পাঠানো, জমানো, গ্রহণ, মোবাইল রিচার্জ ও বিল দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা যায়।