কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে দেশের বৃহত্তম ঈদগাহ কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া মাঠে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার সকাল ১০টায় ঐতিহাসিক এ মাঠে ঈদুল ফিতরের ১৯০তম জামাত পরিচালনা করেন মাওলানা ফরীদ উদ্দিন মাসঊদ।
নামাজ শেষে জঙ্গিবাদের নির্মূল কামনা ও দেশের শান্তি-সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
এর আগের সব ঈদে মাঠের পশ্চিম প্রান্তের ঈদগাহ জামে মসজিদের খোলা দোতলায় মুসল্লিদের দিকে মুখ করে ইমাম খুতবা পাঠ ও মোনাজাত করে এলেও এবার নিরাপত্তার কারণে মসজিদের নিচতলায় নিরাপত্তা বেষ্টনির মধ্যে জামাত পরিচালনা করেন মাওলানা মাসঊদ।
এর ফলে মাঠে অবস্থানরত মুসল্লিরা তাকে দেখতে পাননি। আনুমানিক দুই লাখের বেশি মুসল্লি ঈদ জামাতে অংশ নেন।
গত বছর ঈদুল ফিতরে সংঘটিত জঙ্গি হামলার ঘটনাটি মাথায় রেখে এবার নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় ৮ প্লাটুন বিজিবি, ২০ প্লাটুন এপিবিএনসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ, র্যাব ও আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়।
এছাড়া মাঠে সাদা পোশাকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা নজরদারি করে। প্রবেশ পথগুলোতে সিসি ক্যামেরা ও আটটি ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে মাঠের পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মাঠে প্রবেশের পূর্বে লম্বা লাইনে দাঁড় করিয়ে প্রত্যেক মুসল্লিকে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি করে আর্চওয়ে দিয়ে মাঠে প্রবেশ করানো হয়।
শোলাকিয়া মাঠের রেওয়াজ অনুযায়ী, জামাত শুরুর ৫ মিনিট আগে তিনটি, ৩ মিনিট আগে দুইটি এবং ১ মিনিট আগে একটি শর্টগানের ফাঁকা গুলি ছুড়ে নামাজের জন্য মুসুল্লিদের সংকেত দেওয়া হয়।