ডিএমপি নিউজ : রাজধানীর খিলক্ষেত থানা এলাকা থেকে অপহৃত এক যুবককে উদ্ধার করে ৪ জন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) খিলক্ষেত থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে মোঃ ইকবাল হোসেন হাওলাদার, মোঃ জাহাঙ্গীর জোমাদ্দার, মোঃ রাজু ও মোঃ আলামিন। গ্রেফতারের পর তাদের কাছ থেকে ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত ১টি প্রাইভেটকার, ৫টি মোবাইল ফোন, একটি চাকু, একটি গামছা, রশি ও নগদ ৯৪,৭০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
গতকাল সোমবার গাজীপুরের বাসন থানার সালনা বাজার ও ঢাকার খিলক্ষেতের নিকুঞ্জ-২ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতরা করা হয়।
আজ মঙ্গলবার সকালে গুলশানে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ শহিদুল্লাহ বিপিএম-সেবা, পিপিএম-সেবা।
তিনি বলেন, গত সোমবার সকালে অপহৃত রিমন চন্দ্র দে-র বাবার কাছে তার মোবাইল নাম্বার থেকে ফোন আসে। ছেলের ফোন রিসিভ করার পর অপর পাশ থেকে এক ব্যক্তি বলে, ”আপনার ছেলে আমাদের কাছে জিম্মি, ছেলেকে সুস্থ শরীরে ফেরত পেতে চাইলে ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে”। কিছুক্ষণ পর অপহরণকারীরা আবার ফোন করে ‘নগদ’ সার্ভিসের ৩টি নাম্বর দিয়ে ৫ লক্ষ টাকা দিতে বলে। উপায় না পেয়ে ভিকটিমের বাবা তাদের দেয়া নাম্বরে নগদ ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন। এ বিষয়ে ভিকটিমের বাবা খিলক্ষেত থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ শহিদুল্লাহ আরো জানান, অভিযোগ পেয়ে খিলক্ষেত থানা পুলিশের দুটি টিমকে নিয়োজিত করা হয়। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ক্যান্টনমেন্ট জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ইফতেখায়রুল ইসলাম, পিপিএম-এর নেতৃত্বে ক্যান্টনমেন্ট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মেরিনা আক্তারসহ খিলক্ষেত থানার একটি টিম ওই দিনই অপহৃত রিমনকে উদ্ধার করে এ ঘটনায় জড়িত ৪ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
রিমনের বাবা রঞ্জিত চন্দ্র দে ছেলেকে পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পরেন। তিনি বলেন, আমি খিলক্ষেত থানায় অভিযোগ করার মাত্র ৪-৫ ঘণ্টার মধ্যে আমার ছেলেকে তারা উদ্ধার করেছে। পুলিশের আন্তরিকতা ও তাদের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের জন্য আমার ছেলেকে আমি অক্ষত অবস্থায় ফিরে পেয়েছি। এজন্য খিলক্ষেত থানা পুলিশের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।
উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ শহিদুল্লাহ আরো জানান, গ্রেফতারকৃতরা একটি সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্র। তারা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই ও অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করতো। গ্রেফতারকৃত প্রত্যেকের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।