নিউ জার্সির আকাশ তখন মেঘমুক্ত ছিল। তবে হতভাগ্য স্কাইডাইভারের জন্য তা মোটেও বিপদমুক্ত ছিল না।
হাজার বারের ওপর নিচে লাফিয়ে পড়ার অভিজ্ঞতা ছিল তাঁর। কিন্তু ঘটনার দিন বিপত্তি বাঁধে প্যারাস্যুটে। বিমান থেকে লাফিয়ে পড়ার পর নির্ধারিত সময় ভাঁজ খোলেনি প্যারাস্যুটের। তাই নির্মম মৃত্যুকে বরণ করে নিতে হয়েছে ওই স্কাইডাইভারকে।
ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির মনরো টাউনশিপ এলাকায়। স্থানীয় সময় গতকাল রবিবার বিকেলে মনরো টাউনশিপের আশপাশে মারা যান ৫৪ বছর বয়সী ওই স্কাইডিভার।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, ওই স্কাইডাইভারের প্যারাস্যুটের ভাঁজ না খোলায় আকাশ থেকে পড়ে মারা যান তিনি।
ঘটনাস্থলের পাশের এক বাসিন্দা বলেন, ‘হঠাৎ করে একটি ধড়াস শব্দ কানে আসে। আমরা ভাবলাম কোনো গাড়ি চাপা দিয়েছে কাউকে। পরে দেখলাম একটি সাদা জিনিস পড়ে আছে সেখানে।
কয়েকজন প্রতিবেশী জানান, তারা ভয় পেয়ে যান এবং দ্রুত পুলিশকে জানান। তারা আরো জানান, নিহত ব্যক্তি প্যারাস্যুটে ঢাকা ছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাদেরকে বলেছিল ব্যাকআপ স্যুট তাঁর শরীরের সঙ্গে যুক্ত ছিল।
অন্য কয়েকজন প্রতিবেশী বলেন, তাঁরা দুর্ঘটনার আগে একই সময় একই বিমান থেকে একাধিক স্কাইডাইভারকে লাফিয়ে পড়তে দেখেছিলেন।
জানা গেছে, ঘটনাস্থল থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে অবস্থিত ক্রসকিস বিমানবন্দর। এর পাশের এলাকাটি স্কাইডাইভিংয়ের জন্য একটি জনপ্রিয় স্থান।
স্কাইডাইভ ক্রস কিস নামের সংগঠন এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘কৃতিত্বের সঙ্গে এক হাজারেরও বেশি স্কাইডাইভিংয়ের অভিজ্ঞতা ছিল হতভাগ্য স্কাইডাইভারের।
দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে গ্লুসেস্টার কাউন্টি প্রসিকিউটর অফিস সূত্র। সূত্র : এবিসি