প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইপ এরদোয়ানের ক্ষমতা-বৃদ্ধি প্রস্তাবের ওপর গণভোটের ফলাফল তারা চ্যালেঞ্জ করছতুরস্কের প্রধান বিরোধী দল সিএইচপি
ঐ ফলাফল বাতিল করার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছে তারা।
সিএইচপি দলের উপ-চেয়ারম্যান বুলেন্ত তেজকান বলছেন, গণভোটে কারচুপি হয়েছে বলে যেসব অভিযোগ উঠেছে, সে সম্পর্কে আইনগত শঙ্কা দূর করতে হলে ফলাফল বাতিল করাই একমাত্র পথ।
তুরস্ক থেকে বিবিসির সংবাদদাতারা জানাচ্ছেন, গণভোটে কোন রকমে উৎরে গেছেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। একান্ন শতাংশের সামান্য একটু বেশি ভোট পেয়েছেন তিনি।
কিন্তু দেশের সবচেয়ে বড় তিন শহর – আঙ্কারা, ইস্তান্বুল এবং ইজমিরে তিনি হেরেছেন।
গণভোটে প্রস্তাবের বিরোধিতাকারীরা বলছেন, ভোটে ব্যাপক অনিয়মের হয়েছে – এমনকি নির্বাচন কমিশনের সিল ছাড়া ব্যালট পেপার গণনার সময় বৈধ বলে গৃহীত হয়েছে।
ভোটের ফলাফল নিয়ে তুরস্কের সবচেয়ে বড় শহর ইস্তান্বুলে প্রতিবাদ বিক্ষোভ হয়েছে।
একজন সিনিয়র সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক সেরকান দেমিরতাস বিবিসিকে বলেছেন, তুরস্কের সমাজ ও রাজনীতিতে যে মেরুকরণ রয়েছে, এই গণভোটের পর তা আরও তীব্র হবে বলে তিনি ধারণা করছেন।
গণভোটে একে পার্টি এবং মি. এরদোয়ান কোনও রকমে জিতলেও, কর্তৃত্ব অব্যাহত রাখা তাদের জন্য কঠিন হবে বলে তাঁর মনে হচ্ছে।
গণভোটর ফলাফল নিয়ে বিবিসি বাংলার সাথে আলাপকালে আঙ্কারায় সাংবাদিক সরওয়ার আলম বলেন, এই রায়ের মধ্য দিয়ে এমনকি একে পার্টির সমর্থকরা সরকারকে একটি বার্তা দিয়েছে। আর সেটি হলো তারা একে পার্টিকে সমর্থন করলেও, দলের ক্ষমতাবৃদ্ধিকে তারা সুনজরে দেখছেন না।