ডিএমপি নিউজঃ তৈলাক্ত ত্বক অনেকেরই বিরক্তির কারণ। বিশেষ করে গরমকালে তৈলাক্ত ত্বক এর যত্ন নেওয়াটা আরও একটু বেশি কঠিন। একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ তেল ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে সহায়তা করে।
তৈলাক্ত ত্বক মুখের বলিরেখা ও মুখের রঙের কোন পরিবর্তন হওয়া থেকে রক্ষা করে। কিন্তু তৈলাক্ত ত্বক এ খুব সহজেই ধূলোবালি আটকে যায় ফলে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হয়ে ব্রণ হওয়ার প্রকোপ বাড়ে। তাই নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার না রাখায় ব্রণ দেখা দিতে পারে।
বাড়িতেই তৈলাক্ত ত্বক এর যত্ন নিতে পারেন। প্রতিদিন শসার রস দিয়ে মুখ পরিষ্কার করলে তৈলাক্তভাব দূর করে, শসার রসে চালের গুঁড়া মিশিয়ে scrub হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। তৈলাক্ত ত্বক এ নিয়মিত গোলাপ জল, লেবুর রস আধ ঘণ্টা মুখে লাগিয়ে রেখে আলতো ভাবে তুলো দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন ধীরে ধীরে। এতে ব্রণ এবং ফুসকুড়ির দাগ উধাও হয়ে যাবে।
এক চা চামচ বেসন, অল্প হলুদ গুঁড়ো, টক দই একসঙ্গে মিশিয়ে তা কিছুক্ষণ মুখে রেখে পরিস্কার করলে মুখের তৈলাক্তভাব দূর হবে। শশার রসের সঙ্গে ব্যাশন অথবা আটা মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে মুখে ও গলায় ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে।
তৈলাক্ত ত্বক এর জন্য লোমকূপ বড় দেখানোর সমস্যা হলে, ডিমের সাদা অংশ মুখে লাগিয়ে এরপর টিস্যু পেপার চেপে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন শুকিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত, তারপরে পরিস্কার করে নিন।
নিয়মিত Aloe vera জেল দিয়ে skin পরিষ্কার করলে তা তৈলাক্ত ত্বক এর স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। অনেকেই জানেন না, রসুনে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিবায়োটিক থাকায় ত্বকের তৈলাক্তভাব দূর করতে রসুনের পেস্ট ব্যবহারও ভালো।
মুলতানি মাটির সঙ্গে পরিমাণমতো গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট করে সারা মুখে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন, তৈলাক্ত ত্বক এর তৈলাক্তভাব দূর করে আপনার ত্বককে মসৃণ করে তুলবে। চন্দনের গুন অতুলনীয়, তৈলাক্ত ত্বক এর জন্য চন্দনের গুঁড়োর সঙ্গে মুলতানি মাটি এবং পানি দিয়ে পেস্ট তৈরি করে তা মুখে ১০-১৫ মিনিট রেখে শুকিয়ে এলে ধুয়ে ফেলুন।
একটি পাত্রে পানি গরম করে তাতে চা পাতা দিয়ে ফুটিয়ে নিন এরপর মুখে পাতলা কাপড় দিয়ে ঢেকে গরম ভাব নিন ৩ মিনিট, এছাড়াও আপেলের রস ও লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সূত্র-২৪ ঘন্টা